কক্সবাজার, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নতুন উদ্যোগ

বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয়ে থাকা ১২ লাখ রোহিঙ্গার মিয়ানমারে নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের মধ্যেই নিহিত রয়েছে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান।

মিয়ানমারের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিমণ্ডলে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ ও অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে মর্যাদাপূর্ণভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব। তবে এ বিষয়ে অগ্রগতি তেমন আশাব্যঞ্জক নয়। মিয়ানমারের স্বাধীনতার পর থেকে চলমান নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধিরা একটু দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছেন যে, সক্রিয়ভাবে এ সমস্যা মোকাবিলা করতে হলে তাদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন।

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ২০১৭ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী কোনো দল বা সংগঠনের পক্ষ থেকে এ ইস্যুতে সরব, নিয়মিত উপস্থিতি ও কার্যকর ভূমিকার অভাব রয়েছে।

নিপীড়িত ও নির্যাতিত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার নিরাপদ ও নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রোহিঙ্গাদের স্বার্থ নিয়ে কাজ করে এ ধরনের কয়েকটি নেতৃস্থানীয় সংগঠন এবং রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্বকারী সিনিয়র রাজনীতিকদের নিয়ে আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (এআরএনএ) নামে একটি বৃহত্তর জোট গঠন করা হয়েছে।

বিদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের স্বার্থ নিয়ে কাজ করে এ রকম সংস্থাগুলোর নিজেদের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রোহিঙ্গা স্বার্থ তুলে ধরতে সেসব সংস্থাকে কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে দেখা যায়নি। মিয়ানমারের একটি নতুন ফেডারেল গণতান্ত্রিক ইউনিয়নে তাদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে সহযোগিতা প্রয়োজন।

এআরএনএ-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নে সান লুইনের মতে, সামনের দিনগুলোয় সংস্থাগুলোর মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় বাড়িয়ে দাবি আদায় করাই হবে রোহিঙ্গা নেতৃত্বের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

আশা করা যায়, এআরএনএ মিয়ানমারের ফেডারেল ইউনিয়নের মধ্যে রোহিঙ্গা জনগণের আÍনিয়ন্ত্রণের অধিকার অর্জনের জন্য দেশে-বিদেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গা নেতাদের একত্রিত করতে সক্ষম হবে। এআরএনএ নেতৃত্ব জানায়, রোহিঙ্গারা বিচ্ছিন্নতাবাদী নয় এবং তারা মিয়ানমারের ভবিষ্যতের ফেডারেল ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের অংশ হতে এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সব পক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।

২০১৭ সালে সংঘটিত গণহত্যা এবং নৃশংস সামরিক দমনপীড়নের পর প্রথমবারের মতো যৌথ প্রচেষ্টা হিসাবে এআরএনএ রোহিঙ্গা সংগঠন, রাজনীতিক ও কর্মীদের একটা অভিন্ন প্ল্যাটফরমে একত্রিত করেছে এবং সাধারণ রোহিঙ্গারা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। এআরএনএ জানায়, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসে আগ্রহী এবং তারা জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) এবং ইউনাইটেড লিগ অব আরাকানের (ইউএলএ) সঙ্গেও একত্রে কাজ করতে চায়।

এআরএনএ জানিয়েছে, রোহিঙ্গারা বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের নীতিতে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রোহিঙ্গারাও দেশের অন্যান্য নির্যাতিত জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি তাদের সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করেছে। জোটের নেতারা গত বছরের ২০ নভেম্বর এ জোটের রূপরেখা অনুমোদন করে।

এআরএনএ-এর কার্যক্রম এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং আগামী দিনে তারা দ্রুত বাংলাদেশে ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্বকারী যুবক ও নারীদের এ সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করবে।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রহণযোগ্যতা এবং কট্টর বৌদ্ধ সংগঠনগুলোর নমনীয় মনোভাব অত্যাবশ্যক। এআরএনএ-এর সামনে এ গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো রয়েছে। সেনা অভ্যুত্থানের পর গঠিত এনইউজি ‘রোহিঙ্গা’ হিসাবে তাদের পরিচয়ের স্বীকৃতি দিয়ে ‘পলিসি পজিশন অন দ্য রোহিঙ্গা ইন রাখাইন স্টেট’ নামে একটি অবস্থানপত্র প্রকাশ করেছে।

এ স্বীকৃতির মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি দলগুলোর অবস্থানের পরিবর্তন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এর আগে মিয়ানমার সরকার ও সামরিক বাহিনী দাবি করে আসছিল, ‘রোহিঙ্গা’ বলে কিছু এনইউজির এ অবস্থানপত্রে উল্লিখিত প্রতিশ্রুতিগুলোয় রোহিঙ্গাদের প্রায় সব দাবিদাওয়ার প্রতিফলন আছে। এর পাশাপাশি আরাকানের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ইউএলএ-এর সামরিক শাখা আরাকান আর্মির (এএ) কমান্ডার ইন চিফ জেনারেল ওয়াং ম্রা নাইং জানান, তারা রোহিঙ্গাদের ‘রাখাইনের মুসলমান অধিবাসী’ এবং তাদের মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকার স্বীকার করে।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য এ গ্রহণযোগ্যতা রোহিঙ্গাদের প্রতি তাদের মনোভাব পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি। মিয়ানমারের রাজনৈতিক মহলে এবং আরাকানের স্থানীয় রাজনীতিতে রোহিঙ্গাদের গ্রহণযোগ্যতা এ সংকটের সমাধানকে ত্বরান্বিত করবে। এআরএনএ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ উদ্যোগের পক্ষে সোচ্চার হতে পারে।

এ রাজনৈতিক উদ্যোগে রোহিঙ্গাদের যোগ দেওয়া একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এনইউজি ও আরাকানের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এআরএনএ নেতারা যোগাযোগ অব্যাহত রেখে বিভক্তি ঘুচিয়ে বহু যুগ ধরে চলে আসা দুই জাতিসত্তার সহাবস্থান ও সহনশীলতা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে পারে।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর ইউএলএ এক ঘোষণায় জানিয়েছে, আরাকানের যে কোনো বিষয়ে বৈশ্বিকভাবে সবাইকে তাদের সঙ্গে বোঝাপড়ায় আসতে হবে। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য এএ-এর সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে এবং তখন ইউএলএ পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের রোডম্যাপ তৈরি করবে। চলমান প্রক্রিয়ায় এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

সম্প্রতি মিয়ানমারের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে উগ্র জাতীয়তাবাদী মনোভাব ও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য আলোচিত-সমালোচিত বৌদ্ধ ভিক্ষু আশিন উইরাথুকে সম্মানজনক রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিত করেছে জান্তা সরকার। দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়ে আসছে ভিক্ষু উইরাথু।

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের মালিকানায় থাকা ব্যবসা বর্জন এবং মুসলিমদের সঙ্গে বৌদ্ধদের বিয়ে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে উইরাথু আলোচনায় আসে। ২০১৩ সালে বিশ্বখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে তার ছবি ছাপা হয়েছিল এবং তাকে তখন ‘বৌদ্ধ সন্ত্রাসের মুখ’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ‘বৌদ্ধদের বিন লাদেন’ নামেও উইরাথুকে অনেকে সম্বোধন করেন।

এনএলডি মিয়ানমারের জাতিগত সহিংসতা বন্ধে আগে থেকেই কাজ করছিল। উগ্রবাদী বৌদ্ধ সংগঠনের কাছে রোহিঙ্গাদের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে এনএলডির সহ-প্রতিষ্ঠাতা উইন টিন ২০১৪ সালে তার মৃত্যুর দুই মাস আগে মান্দালে শহরে আশিন উইরাথুর মঠে এসে তার সঙ্গে দেখা করেন, তবে তাদের আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো উইরাথুকে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর বিদ্বেষ বাড়াতে জান্তাকে সহায়তা করার জন্য অভিযুক্ত করে জানিয়েছে যে, উইরাথুর মুসলিমবিদ্বেষী ভূমিকা ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর দমনপীড়ন চালাতে জান্তাকে সহায়তা করেছে। আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অ্যালায়েন্সকে (এআরএনএ) এ ধরনের পরিস্থিতি নিজেদের অনুকূলে আনার জন্য কাজ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারে সহিংসতার অবসান ঘটিয়ে রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে তাদের নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবসনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বানে প্রথমবারের মতো একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।

এ প্রস্তাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়, নিরাপত্তা ও মানবিক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করা হয়। প্রস্তাবে বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব এবং এর ফলস্বরূপ আঞ্চলিক নিরাপত্তার ঝুঁকির বিষয়টিও দৃঢ়ভাবে তুলে ধরা হয়।

চীনের মতে, রোহিঙ্গা ইস্যুটির দ্রুত সমাধান নেই এবং শেষ পর্যন্ত এটি সঠিকভাবে সমাধান করা যাবে কি না তা মূলত মিয়ানমারের ওপর নির্ভর করে। রাশিয়া মিয়ানমারের পরিস্থিতিকে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসাবে দেখে না এবং তাই বিশ্বাস করে যে, এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দ্বারা মোকাবিলা করা উচিত নয়। ভারতও এ প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকে। এআরএনএ-কে শক্তিধর এ দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করে দ্রুত প্রত্যাবাসন উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করার উদ্যোগ নিতে হবে।

সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পশ্চিমা দেশগুলো রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে মানবিক সাহায্য দেওয়ার পাশাপাশি মিয়ানমারের ওপর চাপ দিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব পাশের মাধ্যমে তাদের ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। মিয়ানমার সরকার সাম্প্রতিক সময়ে কট্টর বৌদ্ধ সংগঠনের প্রধানকে পুরস্কৃত করেছে। এ বিষয়টি রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলে কি না তা দেখতে হবে।

এআরএনএ’র সামনে এখন অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তাদের আন্তর্জাতিক মহলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে। চীন, ভারত ও রাশিয়ার মনোভাব এখনো ইতিবাচক না হওয়ায় এআরএনএকে এ দেশগুলো এবং দাতা সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সংকট সমাধানের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে।

আসিয়ান ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বৌদ্ধ সংগঠনগুলোর মনোভাবকে নমনীয় করার চেষ্টা চালাতে হবে। নিপ্পন ফাউন্ডেশনের সঙ্গে মিয়ানমার সরকার এবং এএ’র যোগাযোগ রয়েছে, তাদের সঙ্গেও সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য দাতা সংস্থা, জাতিসংঘ, মিয়ানমারে বিনিয়োগকারী দেশ এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সাহায্য নিয়ে কফি আনান কমিশনের সুপারিশগুলোর বাস্তবায়ন করে রাখাইনের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে।

আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত (আইসিজে) ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে তাদের কার্যক্রমগুলো বিভিন্ন মাধ্যমে, বিভিন্ন ভাষায় মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। মিয়ানমারের সাধারণ মানুষের মানসিকতার পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে এবং কট্টর ও সাধারণ বৌদ্ধ সংগঠনগুলোকে লক্ষ্য করে প্রেরণামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচারের চেষ্টা করা যেতে পারে।

এআরএনএকে মিয়ানমারের এনইউজি, পিডিএফ, এএ, সুশীল সমাজ, নীতিনির্ধারক ও আইনপ্রণেতা এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।

এত কিছু করার মতো অবস্থা তাদের এখনো হয়নি। তবে সাংগঠনিক দৃঢ়তা ও আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলে একটু দেরিতে হলেও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের মুখ দেখবে বলে আশা করা যায়। এআরএনএ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দ্রুত পরিচিতি লাভ করুক এবং তৎপর হয়ে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান ত্বরান্বিত করুক-এটাই প্রত্যাশা।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান মো. শামসুদ্দীন : মিয়ানমার ও রোহিঙ্গাবিষয়ক গবেষক

পাঠকের মতামত: