কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

আরসা প্রধানসহ ২৮ সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পোস্টার

কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু জুনুনীসহ ২৮ শীর্ষ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিতে ক্যাম্পগুলোতে পোস্টার লাগানো হয়েছে। পোস্টারে বার্মিজ ভাষায় উল্লেখ করা হয়েছে তারা সন্ত্রাসী, তাদের ধরিয়ে দিন। 

শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল থেকে উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালীর বিভিন্ন ক্যাম্পে এ ধরনের পোস্টার দেখতে পান সাধারণ রোহিঙ্গারা। ক্যাম্পে ১১, ১২, ১৮ ও ১৯ নং ক্যাম্পে এসব পোষ্টার বেশি দেখা গেছে বলে জানিয়েছে তারা। তবে কারা এ পোস্টার লাগিয়েছে তা জানা যায়নি।

wo30-Rohingya-refugees-WEB-1200x600wo30-Rohingya-refugees-WEB-1200×600

পোস্টারে থাকা ২৮ জন হলেন, আরকান রোহিঙ্গা স্যালভ্যাশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু জুনুনী, হেদায়েত উল্লাহ ওরফে খালেদ, মৌভলী মোস্তাক, মৌলভী লাল মোহাম্মদ ওরফে বোরহান, নুর কামাল ওরফে সমি উদ্দিন, ইব্রাহীম, মৌলভী জাকারিয়া, কাউসার ওরফে সাবের, খায়রুল আমিন ওরফে ইব্রাহীম, আলী জোহর, হাফেজ ইউনূছ, সানাউল্লাহ, জুলাইয়ার, শফিক, নুর মাহমুদ, হাফেজ নুর মোহাম্মদ, আব্দুর রহমান, হাসান, জাহিদ হোসেন ওরফে লালু, মাস্টার আব্দুর রহিম, জান্নাত উল্লাহ, মোহাম্মদ সলিম, মাহামুদুর রহমান, মোহাম্মদ জুবাইয়ের, মোহাম্মদ আলম ওরফে মুসা।

জানা যায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যে সব পোস্টার লাগানো হয়েছে, সেই পোস্টারে বার্মিজ ভাষায় লেখা ছিলো তারা সন্ত্রাসী। এ মানুষগুলোকে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান। যদি কোনো ক্যাম্পে কেউ তাদের দেখতে পায় তাহলে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে।

Untitled-1Untitled-1

স্থানীয় রোহিঙ্গা আবু কালাম জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন ব্লকে এ ধরনের পোস্টার দেখা যাচ্ছে।তারা সবাই চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এবং যেখানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীদের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। সঙ্গে অনেকের ফ্যামিলি কাউন্টিন নম্বরও দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় আরেক রোহিঙ্গা সৈয়দ হোসাইন জানান, ক্যাম্পের ভেতরে যেসব অপরাধ কর্মকাণ্ড হচ্ছে। সব এদের গ্রুপের নেতৃত্ব হচ্ছে। তারা ক্যাস্পে হত্যা, মাদক ও অপহরণের ঘটনাগুলো প্রতিনিয়ত ঘটাচ্ছে। পোস্টারের প্রকাশ হওয়া সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হলে ক্যাম্প এলাকায় শান্তি ফিরে আসবে।

৮-আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন)সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ জানান, বিভিন্ন ক্যাম্পে পোস্টার দেওয়া হয়েছে সেটা সঠিক। তবে কে বা কারা পোস্টার লাগিয়েছে তা আমরা জানি না। এবং পোস্টারে থাকা ২৮ জনই শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাদের সন্ধান পেলে গ্রেপ্তার করা হবে।

রোহিঙ্গা

তিনি আরও জানান, এসব শীর্ষ সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক, অপহরণসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে নজরদারি ও গোয়েন্দা তৎপরতাও রয়েছে।

পোস্টার বিষয়ে ৮-আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ জানান, পোস্টারে থাকা ২৮ জনই শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাদের সন্ধান পেলে গ্রেপ্তার করা হবে। এসব শীর্ষ সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক, অপহরণসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে নজরদারি ও গোয়েন্দা তৎপরতাও রয়েছে।

পাঠকের মতামত: