কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

৮ এপিবিএন অভিযান

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এক বছরে ১৪০ অস্ত্র উদ্ধার, আটক ৪৭৮

কক্সবাজারের উখিয়ার ১০টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক বছরে প্রায় ২০০টি অভিযানে ১৪০টি অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

এছাড়া অবৈধভাবে পাচারকালে ৯০৮ কেজির বেশি স্বর্ণলংকার, মাদকের লেনদেনের ৫৮ লাখ টাকা, ফায়ার আর্মস ৮টি, ইয়াবা ৮ লাখ ৭০ হাজার, গাজা ১ কেজি, ১১.৩০ লিটার অ্যালকোহল, ৩ লাখ ৩৫ হাজার মিয়ানমারের কিয়াতসহ ৫০ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় ৪৭৮ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে ৮ এপিবিএন।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) উখিয়ার রাজাপালংস্থ ৮এপিবিএন কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব তথ্য জানিয়েছেন ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খান।

এসপি সিহাব কায়সার খান জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘আরসার’ কার্যক্রমের কোন প্রশ্নই আসে না। কিছু অপরাধী ক্যাম্পে ত্রাস সৃষ্টি অথবা ভয়ভীতির দেখনোর জন্য আরসার নাম ব্যবহার করছে। এর বাইরে কিছু না। ক্যাম্প পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে। এখানে কোন অপরাধী সুযোগ পাবে না।

তিনি জানান, সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ক্যাম্পে যেকোনো দুর্যোগময় মুহূর্তে সবার আগে দায়িত্বরত এলাকায় কিছু হলে তাৎক্ষণিক ৮ এপিবিএন সাড়া দেয়। অগ্নিকাণ্ডের সময় ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টার কারণে প্রাণহানির ঘটনা কমেছে।

৮ এপিবিএন জানায়, মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা আসার পর ঢাকা থেকে ৮-এপিবিএনকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর থেকে ১১টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছে ৮ এপিবিএন। এসব ক্যাম্পে ৬৪টি ব্লক এবং ৭৭৩টি সাব ব্লক রয়েছে। সেখানে ৭৫ হাজার ৯৩০টি বাড়ির মধ্য ৩ লাখ ৬২ হাজার ২১৮ জন মানুষের বসতি। তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পে প্রতিরাতে সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গা (স্বেচ্ছাসেবক) স্বেচ্ছায় পাহারার পাশাপাশি ৫টি পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে।

৮ এপিবিএন এর মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন বলেন, ‘আমরা গত এক বছরে বিপুল পরিমাণ মাদক ও অস্ত্রসহ তালিকাভুক্ত ৪৭৮ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। ক্যাম্পের পরিস্থিতি শান্ত রাখতে জীবন-বাজি রেখে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।’

পাঠকের মতামত: