কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ায় অর্ধ শতাধিক বক ও কারেন্ট জাল উদ্ধার, পালিয়ে গেল শিকারিরা

মোহাম্মদ ইব্রাহিম মোস্তফা, উখিয়া বার্তা::
কক্সবাজারের উখিয়ায় বন বিভাগের কর্মীরা অভিযান চালিয়ে ১২ শত মিটার কারেন্ট জাল ও অর্ধ শতাধিক সাদা বক উদ্ধার করা হয়েছে৷
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের পার্শ্ববর্তী রাজাপালং ইউনিয়নের মাছকারিয়া বিল থেকে এসব বক শিকার করা হচ্ছিল। রোহিঙ্গা শিবিরে প্রতি জোড়া বক ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উখিয়ার রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলমের নেতৃত্বে মাছকারিয়া বিল এলাকা থেকে এসব বক উদ্ধার করা হয়। অভিযানকালে বক শিকারে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
এসময় বিট কর্মকর্তা রাকিব হোসাইন রাজু, বিট কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র, সদর বিট কর্মকর্তা সাজ্জাদুজামান, বিট কর্মকর্তা বিকাশ দাশ, অন্যান্য বিট কর্মকর্তা, বনকর্মী ও সিপিসিসহ ৫০ জন উপস্থিত ছিলেন। অভিযানকালে পাখি শিকারিরা পালিয়ে যায়। এ কারণে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুফিজ মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চিহ্নিত কিছু পাখি শিকারি ‘বন্য পশু আইন’ অমান্য করে জালের ফাঁদ বসিয়ে বক শিকার করে আসছে। পরবর্তীতে এসব বক বাজারে বিক্রি করে তারা।
উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বলেন, রোহিঙ্গারা পশু-পাখি শিকারে অত্যন্ত পারদর্শী। শিকারি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে স্থানীয় লোকজনও তা রপ্ত করে নেয়। স্থানীয়দের সঙ্গে যোগসাজশ করে রোহিঙ্গা শিকারিরা বিল থেকে শত শত বক শিকার করে।
তিনি আরও বলেন, অফিসের পাশে সবার উপস্থিতিতে বকগুলো অবমুক্ত করা হয়।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসন্ন শীত মৌসুমের আগেই পরিযায়ী পাখিসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি উপজেলার বিভিন্ন জলাশয়-বিলে আসছে। পাখিরা যেন নির্বিঘ্নে বিচরণ করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এসব পাখি শিকার থেকে বিরত থাকার জন্য মানুষকে সচেতন করতে উপজেলা প্রশাসন বন বিভাগের মাধ্যমে এলাকায় মাইকিংয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত: