কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে মহাপরিকল্পনা নিয়ে ১০টি মেগা প্রকল্পসহ ছোট-বড় ৭২টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। ইতিমধ্যে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক, খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, লিংকরোড় থেকে হলিডে মোড় সড়ক এবং মহেশখালী ডিজিটাল আইল্যান্ডে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে জনগণ। এরই মধ্যে চলমান প্রকল্পের আরও ২৩টি প্রকল্প ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আগামী ৭ ডিসেম্বর সমাপ্ত হওয়ায় এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওইদিন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, কক্সবাজারকে একটি উন্নত ও পরিপূর্ণ পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নজর রয়েছে। সম্প্রতি শেষ হওয়া আরও ২৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে যেসব প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
৮৫৮ দশমিক শূন্য তিন কোটি টাকা ব্যয়ে শেষ হওয়া উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রামুতে বিকেএসপি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কক্সবাজারে ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মাণ, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম উন্নয়ন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কুতুবদিয়ায় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন ও বাহারছড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা মাঠ এবং কলাতলী উদ্যান নির্মাণ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের আওতায় জোয়ারিনালা শেখ হাসিনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা ভবন নির্মাণ, আব্দুল মাবুদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতায় ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ৩ তলাবিশিষ্ট একটি আধুনিক বহিঃবিভাগ ভবন নির্মাণ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের আওতায় কক্সবাজার জেলার লিংক রোড-লাবনী মোড় সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ হাড়িয়াখালী থেকে শাহপরীর দ্বীপ অংশ পুনঃনির্মাণ, প্রশস্তকরণ এবং শক্তিশালীকরণ, কক্সবাজার রামু-ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্থতায় উন্নীতকরণ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কক্সবাজার টেকনাফস্থ শাহপরীর দ্বীপে পোল্ডার নম্বর-৬৮ এর সী-ডাইক অংশের বাঁধ পুনঃনির্মাণ ও প্রতিরক্ষা কাজ বাস্তবায়ন (২য় সংশোধিত) ও স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন কক্সবাজার রামু উপজেলাধীন কলঘর বাজার-রাজারকুল ইউপি সড়কে বাকঁখালী নদীর ওপর ৩৯৯ মিটার দীর্ঘ গার্ডার ব্রিজ, কক্সবাজার জেলায় নবনির্মিত ৬টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ভবন, রামু উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, টেকনাফ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন সম্প্রসারণ (২য় পর্যায়), উখিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, বিমানবন্দর থেকে নুনিয়ারছড়া সড়ক এবং ৪টি সংযোগ সড়ক আরসিসিকরণ, শহীদ সরণি সড়ক এবং ৩টি সংযোগ সড়ক আরসিসিকরণ, সদর থানা থেকে খুররুকুল পর্যন্ত আরসিসি সড়ক নির্মাণ, সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত সড়ক এবং ৪টি সংযোগ সড়ক আরসিসিকরণ এবং কক্সবাজার প্রধান সড়ক থেকে খরুশকুল রোড হয়ে তারাবনিয়ারছড়া পর্যন্ত আরসিসি সড়ক নির্মাণ।
কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান বলেন, কক্সবাজারকে পরিকল্পিতভাবে সাজাতে গণপূর্ত বিভাগের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে তিনটি প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ায় উদ্বোধনের তালিকায় রয়েছে।
কক্সবাজার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. আনিসুর রহমান বলেন, ১৩৫ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান প্রকল্পের মধ্যে ১০টি শেষ হয়েছে। যার সুফলও পাচ্ছে স্থানীয়রা।
শিক্ষা অধিদপ্তর কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী শ্রাবণী চক্রবর্তী বলেন, সরকার দেশকে নিরক্ষরমুক্ত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই অনুযায়ী দেশজুড়ে অবকঠামোগত ব্যাপক উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে। আমাদের শেষ হওয়া তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহে আরেফীন বলেন, ৪৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে লিংক রোড-লাবনী মোড়, টেকনাফ-শাহপরীর দ্বীপ হাড়িয়াখালী হতে শাহপরীর দ্বীপ সড়ক এবং রামু-ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা সড়কের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
পাঠকের মতামত: