কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

বসত বাড়ি ও দোকান গুড়িয়ে দিয়ে উচ্ছেদের অভিযোগ

উখিয়ায় পুরো পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে বয়োবৃদ্ধা

ইনানী প্রতিনিধি::

উখিয়ার ইনানী গ্রামে দোকান, পল্ট্রি ফার্ম ও বসতি ঘর ভাঙচুর করে এখলাছুর রহমান নামক এক বয়োবৃদ্ধ পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে।
জানা যায়, উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড় ইনানী গ্রামের মৃত জালাল আহমদের পুত্র এখলাছুর রহমান দীর্ঘ ৪৬ বছর ধরে ইনানী বড় মসজিদের দক্ষিনে একখন্ড জায়গায় বসবাস করে আসছিল৷ একই সাথে গ্রাম্য দোকান, পোল্ট্রি ফার্ম, পুকুরের মাছ চাষ ও কবুতর লালনপালন করে কোন রকম জীবিকা নির্বাহ করে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, শশুর মৃত বশির উল্লাহ বিগত ১৯৭৬ সালে তার কন্যা গোলতাজ বেগমকে ২৬ শতক জমি স্ট্যাম্প সম্পাদনের মাধ্যমে দান করেন। মৌজা ইনানী, ২ নম্বর খাস মহাল আরএস ১২২৩/১৪৩ নম্বর খতিয়ানের আরএস ১৭৭৫ নম্বর দাগের আন্দর।

এদিকে গোলতাজ বেগম জানান, আমার পিতার দানকৃত জায়গায় বসত বাড়ি তৈরি করে বসবাস করছি। বসত ভিটায় পুকুর সহ অসংখ্য ফলজ ও বনজ গাছ গাছালি রয়েছে। তিনি আরও বলেন আমার স্বামী এখলাছুর রহমান রাস্তার পাশে একটি মুদির দোকান ও একটি কসমেটিকের দোকানের ব্যবসার পাশাপাশি পল্ট্রি ফার্ম ছিল।
স্থানীয় গ্রামবাসী সাথে আলাপ করে জানা গেছে উক্ত জায়গা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল। ঢাকার একটি কোম্পানি উক্ত জায়গা ক্রয় করে। মূলত এ নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়।
বয়োবৃদ্ধ এখলাছুর রহমান অভিযোগ করে, আমার স্ত্রীর জায়গাটি দখল করার জন্য প্রতিপক্ষ গংরা দীর্ঘ দিন ধরে স্ত্রী-সন্তান মেয়ে সহ আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার ৩ টি গ্রামীন দোকান, ১ টি পোল্ট্রি ফার্ম ও বসতি ঘর উচ্ছেদ করে গুড়িয়ে দিয়েছে৷ এতে তার অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ বলতে গেলে বর্তমানে পুরো পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিছে বসবাস করছে।

অপরদিকে ঢাকার একটি কোম্পানির কেয়ারটেকার খাইরুল আমিন বলেন, আদালতের রায়ের আদেশ অনুযায়ী আইন অনুসরণ করে নালিশি জমি প্রশাসনের পক্ষে উচ্ছেদ করা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত এখলাছুর রহমান জানান, উচ্ছেদ করার পূর্বে কোন প্রকার নোটিশ জারি করা হয়নি। তিনি কান্না কন্ঠে অঝোর চুখের পানি ফেলে বলেন আমরা কোথায় গিয়ে আশ্রয় পাবো। দীর্ঘ ৪৬ বছর ধরে জায়গায় বসবাস করলেও আজ আমি জায়গা ও বাড়ি হারিয়ে পথে বসেছি৷

পাঠকের মতামত: