কক্সবাজার, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

দূর্ঘটনার শঙ্কা

উখিয়ায় সড়কের বৈদ্যুতিক খুঁটি গলার কাঁটা

মোহাম্মদ ইব্রাহিম মোস্তফা, উখিয়া বার্তা ডটকম::
কক্সবাজার-টেকনাফ আরকান সড়ক বর্তমানে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কে যেন মানুষের মৃত্যু থামছেই না। রাস্তায় বের হলেই শঙ্কায় থাকে সাধারণ মানুষ। অবহেলাসহ বিভিন্ন কারণে এভাবে মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। তারপর সচেতন হচ্ছে না সরকারি প্রতিষ্ঠান, কর্মকর্তা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তারা রাস্তার মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই নির্মাণ কাজ শেষ করছে। এসব বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগকে জানানো হলেও নেয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।
উখিয়া সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তার মাঝখানে বেস কয়েকটি বিদ্যুৎতের খুটি। এই রাস্তার ঢালাইয়ের কাজ শেষ করা হয়েছে। এই অংশে রাস্তার মাঝখানে বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই ঢালাই কাজ শেষ করা হয়েছে।
বুধবার (০৩ অক্টোবর) ঘটনাস্থলে কিছুক্ষণ অবস্থান করে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণভাবে যানবাহন চলাচল করছে ওই খুঁটির পাশ দিয়ে। অবস্থা এ রকম হয়েছে, যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
চালক, পথচারীরা বলছেন, রাস্তার মাঝে এভাবে খুঁটি রেখে ঢালাই শেষ করা ঠিক হয়নি। যেকোনো সময় এই খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেখে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যেন দুর্ঘটনা ঘটার জন্য খুঁটি রেখে দিল।
রিকশাচালক শাহ আলম বলেন, রাস্তার প্রশস্ত করে যেখানে যানচালক ও যাত্রীর মনে স্বস্তি নামার কথা। কিন্তু সেই রাস্তার মাঝখানে যদি গলার কাঁটার মতো বিদ্যুতের তারের খুঁটি সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে স্বস্তির বদলে ভীতি নামে।
পথচারী শাহরিয়ার মোহাম্মদ তায়েফ বলেন, রাস্তায় বিপজ্জনকভাবে বিদ্যুতের খুঁটি রেখে কাজ করা হয়েছে। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যানমালের ব্যপক ক্ষতি হতে পারে। পাশাপাশি এ সড়কে যানবাহন চলাচলেও যেকোনো সময় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হতে পারে।
রাস্তার মেরামত কাজে নিয়োজিত থাকছিল এমন একজন বলেন, সড়কটি ১৮ থেকে ২৪ ফুট প্রশস্ত করা হয়েছে। আর বাজারের অংশগুলো ৪৪ ফুটে সম্প্রসারিত হয়েছে। ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে জানুয়ারিতে। এই খুঁটি এখন উপড়ে ফেলা সম্ভব না। এর একমাত্র সমাধান হলো কেটে ফেলা।
রাস্তা নির্মাণকাজে সুপারভাইজারে দায়িত্বে থাকা একজন বলেন, রাস্তার মাঝখান থেকে খুঁটিগুলো সরানোর জন্য বারবার পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষকে বললেও তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এদিকে আমাদের কাজ শেষ হয়েছে এপ্রিলে। এনিয়ে যেকোনো সময় বড়ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর রাজাপালং ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, বৈদ্যুতিক খুঁটি রাস্তার মাঝখানে এমন ভাবে রয়েছে সব সময় শঙ্কায় থাকে পথচারীরা। রাস্তা একটু ফাঁকা থাকায় গাড়ি খুব দ্রুত আসে। যদি একটু বেখেয়াল হলেই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে। এদিকে এ নিয়ে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের।
এব্যাপারে উখিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম গোলাম সরওয়ার মোর্শেদ বলেন, সড়কের কাজ শেষ। বিদ্যুতের খুঁটি সড়ক থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য আমাদের নতুন করে খুঁটি বসানোর কাজ চলতেছে। খুঁটি এবং তারের কাজ শেষ হলে রাস্তার খুঁটি সরানো হবে।
উল্লেখ্য, প্রায় ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এপ্রিল মাসে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রথম ফেজের প্রথম প্যাকেজে কক্সবাজারের লিংক রোড হতে উখিয়া পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার এবং দ্বিতীয় প্যাকেজে উখিয়া হতে উনচিপ্রাং পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটারসহ মোট ৫০ কিলোমিটার সড়ক মজবুতিকরণের কাজ শেষ করা হয়েছে৷

পাঠকের মতামত: