কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ায় হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী, জনমনে আতংক

কক্সবাজারের উখিয়ায় এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় উখিয়া হাসপাতালে ২ জন, কোট বাজার অরিজিন হাসপাতলে ৪ জন ও কোট বাজার অরিয়ন হাসপাতলে ২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে।

কোট বাজার অরিয়ন হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার কামরুল ইসলাম জানান , গত সাত দিনে ১২০ জন রোগী জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছে। তন্মধ্যে ৮০/৯০ জন রোগীর মধ্যে এডিস মশাবাহিত জীবাণু ধরা পড়েছে।

অরিজিন হাসপাতালে ডাইরেক্টর দরবেশ আলী জানান , প্রতিদিন গড়ে ২/৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে।

কোট বাজার ফজল মার্কেটের রিপা কম্পিউটারের মালিক সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রামে গঞ্জে ঘরে ঘরে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে । বলতে গেলে সবার মুখে মুখে এখন ডেঙ্গু রোগ।

জালিয়া পালংয়ের ইলেকট্রিশিয়ান হেলাল উদ্দিন উদ্বেগের সহিত বলেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শত শত ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেলেও হোষ্ট কমিউনিটির স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মাঝে ডেঙ্গু রোগ ছড়িয়ে পড়ায় এখন আতঙ্কের বিষয়৷

হলদিয়া পালং ইউনিয়নের বৌ বাজার গ্রামের আধুনিক সেলুনের মালিক গুরাধন শর্মা জানান, তার এক নিকট আত্মীয়ের পরিবারে একসাথে ৪ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে।

উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায় , এ পর্যন্ত ৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে । হাসপাতাল ভর্তি রয়েছে দুইজন ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মহিউদ্দিন মহিন জানান , হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসা ও সেবা রয়েছে। ডেঙ্গু রোগে আতঙ্কিত না হয়ে ঘুমানোর সময় নিয়মিত মশারি ব্যবহার ও বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখার আহ্বান জানান তিনি।

কোট বাজার ওরিয়ন হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার কামরুল ইসলাম ডেঙ্গু রোগের প্রকার ভেদ সম্পর্কে বলেন ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু ফিভার : আর দশটা ভাইরাল ফিভারের মতো ভয় না পেলে কোনো সমস্যা নেই।

ডেঙ্গু হিমোরেজিক ফিভার : ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গুর সবকিছুই থাকে। রক্তনালির লিকিং হয় বলে বাড়তি কিছু সমস্যা হয়। ঠিকমতো হ্যান্ডলিং না করলে জীবনের ঝুঁকি আসতে পারে।

পাঠকের মতামত: