কক্সবাজার, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

এত সুবিধা দেবে জানলে কষ্ট করে হলেও মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিতাম: সংসদে রওশন আরা

স্বাধীনতার পরে অনেক মুক্তিযোদ্ধা নিজেদের পরিচয় দিতে ভয় পেত দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান। তিনি বলেছেন, ‘যদি জানতাম মুক্তিযোদ্ধাদের এত সম্মান দেবে এই সরকার এসে, এত সুযোগ-সুবিধা দেবে, তাহলে কষ্ট করে হলেও মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিতাম। কিন্তু তখন বুঝি নাই, এটার এত বড় মর্যাদা হবে।’

আজ সোমবার জাতীয় সংসদে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিল-২০২২ এর ওপর জনমত যাচাইয়ের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন রওশন আরা মান্নান।

বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের যে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন, এর জন্য নতুন করে আইনের দরকার আছে বলে জানান জাপার এই নারী এমপি। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পরে অনেক মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের পরিচয় দিতে ভয় পেত। কিন্তু এখন মুক্তিযোদ্ধা এত বেশি হয়েছে… মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী দেখি সারাক্ষণই ব্যস্ত থাকেন। এত ঝামেলা, এত পরিশ্রম করেন যে, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা এখন পর্যন্ত শেষ করতে পারেন নাই। নতুন নতুন তালিকা আসে। এই বিতর্ক যে কবে শেষ হবে. . অথচ দেশ যারা স্বাধীন করেছিল তারা বুঝে নাই।’

রওশন আরা মান্নান বলেন, ‘আমার বাড়ি এক থেকে আধা মাইলের মধ্যে সীমান্ত। ভয়ে আগরতলা চলে গিয়েছিলাম। কষ্ট দেখে আবার চলে এসেছিলাম দেশে। এখানে যখন আর্মিদের ভয় লাগত চলে যেতাম, আবার ফিরে আসতাম।’

সংশোধনী আলোচনায় রওশন আরা বলেন, ‘আমার সহকর্মীরা আমাকে বলল আপনি কেন মুক্তিযোদ্ধার সনদ নেন নাই। আমিতো নামই বল্লাম স্বপ্না রায়, শাহিন সামাদ…এদের সঙ্গে ওখানে। তারা (এমপিরা) সনদ কেন নিলেন না, আমরা জোগাড় করে দি এখন।’

জাপার এই নারী এমপি বলেন, ‘আমরা এক মায়ের ঘরে ১২ বোন। কুমিল্লায় একটি পরিবার ছিল তারা ১১ বোন। গান গাইতো। কিন্তু কোন রাজাকার দেখিয়ে দিল এখানে ১২ বোন আছে তারা গান গায়। আমরাতো নামাজ-রোজা করি, কিন্তু এসবে নাই। এজন্য সীমান্তে একটা বাসা ভাড়া নিয়ে আমাদের সেখানে দৌড়াতে হত। আমাদের সেই কষ্টের দিনগুলো. .’

এসময় তিনি কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘তারাসহ আমরা এক সঙ্গে ছিলাম। কিন্তু পুরা করি নাই। ওখানে যন্ত্রণা ও কষ্ট দেখে এখানে চলে আসতাম। আবার ভয় পেলে চলে যেতাম।’

পাঠকের মতামত: