কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ বছর বালি দ্বীপে যাওয়ার সুযোগ নেই বিদেশি পর্যটকদের

বাংলাট্রিবিউন : করোনাভাইরাস পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে বিদেশি পর্যটকদের জন্য এ বছরের শেষ পর্যন্ত বালি দ্বীপ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। আগামী মাস থেকে পর্যটনকেন্দ্রটি খুলে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা বাতিল করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইন্দোনেশিয়ায় এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৫৫ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৭৫৯ জনের। মৃত্যুর দিক দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দেশটি শীর্ষস্থানে রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পরীক্ষার হার বাড়ানো হলে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হতো। ইন্দোনেশিয়ার পর্যটনকেন্দ্র বালি দ্বীপে সোমবার (২৪ আগস্ট) পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৫৭৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের।

প্রতি বছর কয়েক লাখ পর্যটক বালি দ্বীপ ভ্রমণ করেন। তবে করোনাভাইরাস মহামারিকে কেন্দ্র করে ইন্দোনেশিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পর সে সংখ্যা অনেক কমে যেতে থাকে। জুলাইয়ের শেষ নাগাদ বালি দ্বীপ শুধু অভ্যন্তরীণ পর্যটকদের জন্য খোলা রাখা হয়। এমন অবস্থায় স্থানীয় হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলো পর্যটকের অভাবে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে। ন্যুনতম উপার্জনটুকু নিশ্চিত করতে অনেক রিসোর্টকর্মী গ্রামের বাড়িতে কিংবা ছোট ছোট শহরগুলোতে চলে গেছেন। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে সেপ্টেম্বর থেকে বালি দ্বীপ বিদেশিদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। তবে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে কর্তৃপক্ষ।.

মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) বালি দ্বীপের গভর্নর ওয়াইয়ান কোস্টার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বালিসহ গোটা দেশে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের ভ্রমণের অনুমতি দেওয়ার মতো পরিবেশ ইন্দোনেশিয়ায় এখনও তৈরি হয়নি।’

বিদেশি পর্যটকদের জন্য বালি আবার কখন খুলে দেওয়া হবে তা ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি। তবে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালের শেষ নাগাদ আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য ইন্দোনেশিয়াকে উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে না। গভর্নর আরও বলেন, বালি দ্বীপকে নতুন করে খুলে দিতে দূরদর্শী ও সতর্ক প্রস্তুতি প্রয়োজন। তা না করা হলে বালি দ্বীপের সুনাম ক্ষুণ্ন হতে পারে।

পাঠকের মতামত: