কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

কুরআন ছুঁয়ে কসম ভাঙ্গলে যা করতে হয়

 

কাউকে কোন কিছু বিশ্বাস করানোর জন্য আমরা বিভিন্ন সময় কসম করে থাকি। কিন্তু একমাত্র আল্লাহর কসম ছাড়া কোন কসম করা না জায়েজ। তবে ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে আমরা অনেকে পবিত্র আল কুরআন ছুঁয়ে শপথ বা কসম করে থাকি। অনেক সময় এই কসম ভাঙ্গার তীব্র প্রয়োজন দেখা যায়।

এক্ষেত্রে কসমকারী একরকম দিশেহারা হয়ে যায়। সে কি করবে, কসম রাখবে না ভাঙ্গবে? ইসলাম মানুষের জীবনকে সহজ করে দিয়েছে। এই কুরআনকে ছুঁয়ে কসম করে কসম ভাঙ্গলেও রয়েছে একটি সমাধানমূলক বিধান। আসুন জেনে নেয়া যাক একটি উদাহরণকৃত কসম ভাঙ্গার পরিপ্রেক্ষিতে ইসলাম কি বিধান রেখেছে।

প্রশ্ন : কিছুদিন আগে পারিবারিক একটি বিষয়ে চাচার পরিবারের সঙ্গে আমাদের ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে আমি কোরআন মাজিদ স্পর্শ করে কসম করেছিলাম চাচাতো ভাইদের বাড়িতে আমি আর কোনো দিন যাব না। এখন তাদের সঙ্গে আমাদের ঝগড়া মিটে গেছে। আমি জানতে চাই, কোরআন স্পর্শ করে কসম করলে তা কার্যকর হয় কি না? আর আমি তাদের বাড়ি গেলে আমার করণীয় কী?

উত্তর : কোরআন স্পর্শ করে কসম করলে তা সংঘটিত হয়। তাই চাচাতো ভাইদের বাড়ি গেলে আপনার কসম ভেঙে যাবে। তখন আপনার ওপর কাফফারা আদায় করা ফরজ হবে। তা আদায় না করলে আপনার কবিরা গুনাহ হবে। কসমের কাফফারা হলো, ১০ জন মিসকিনকে দুই বেলা তৃপ্তিসহকারে খাবার খাওয়ানো। অথবা প্রত্যেককে এক জোড়া কাপড় দেওয়া। আর তা সম্ভব না হলে একনাগাড়ে তিন দিন রোজা রাখা।

উল্লেখ্য, কসম একমাত্র আল্লাহ তাআলার নামেই করা যায়। আল্লাহ তাআলার নাম ব্যতীত অন্য কোনো জিনিসের কসম করা নাজায়েজ। এমনকি কোরআনের নামে বা তা স্পর্শ করে কসম করাও নিষিদ্ধ। যদিও তা কার্যকর হয়ে যায়।

তথ্য সূত্র : বাদায়িউস সানায়ে : ৩/৬৩; আল-বাহরুর রায়েক : ৪/২৮৬; ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া : ২/৫৩।

পাঠকের মতামত: