কক্সবাজার, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

ঘাটে ফেরি সংকট, ঈদযাত্রায় ভোগান্তির আশঙ্কা

করোনার কারণে গত ২ বছর ঈদে গ্রামমুখী মানুষের সংখ্যা ছিলো কম। কিন্তু এবার ঘরমুখো যাত্রীর সংখ্যা আগের দুই বছরের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। কিন্তু সেই অতিরিক্ত চাপ সামলানোর মতো সক্ষমতা দেশের দুই প্রধান ফেরিঘাট আরিচার পাটুরিয়া ও মুন্সীগঞ্জের মাওয়ার নেই। পর্যাপ্ত ফেরি না নেই ঘাটগুলোতে। এতে ঘাট পারাপারে দুর্ভোগ পোহাতে হবে যাত্রীদের।

অন্য বছর ঈদে ১৭ থেকে ১৮টি ফেরি সচল থাকত। গত বর্ষায় দেড় মাসের ব্যবধানে পাঁচবার পদ্মা সেতুর খুঁটিতে ধাক্কার ঘটনায় সন্ধ্যা ৬টার পর ফ্ল্যাট ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি চলাচলও বন্ধ রাখা হয়। পরে ফেরি চালু হলেও পারাপার করা হচ্ছে মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, পিকআপ। আট মাস ধরে বন্ধ রয়েছে ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস পারাপার।

ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পর ফরিদপুর ও বরিশাল অঞ্চলের ১০ জেলার যাত্রীদের ভরসা মাওয়া ঘাট। কিন্তু পদ্মা নদীর শিমুলিয়া-বাংলাবাজার, শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌপথে ফেরির সংখ্যা মাত্র ছয়টি। যা অতিরিক্ত যাত্রী পারাপারের সুবিধার ক্ষেত্রে সংখ্যায় খুবই কম।

ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, দিনে চলাচল করে ছয়টি ফেরি। এত কম ফেরি দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য। এখন ঘাটে আসার পর একটি গাড়ি আধা ঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে ফেরিতে উঠতে পারে। ঈদে গাড়ির চাপ বাড়লে সময় আরও বেশি লাগতে পারে।

পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে চলাচলে বিধিনিষেধ থাকায় কিছু ফেরি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে এই সময়ে ২৪ ঘণ্টাই ফেরি চলাচল করতে পারার জন্য আলোচনা চলছে বলে জানান, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ঈদের চাপ সামাল দিতে এই সপ্তাহেই বাড়তি একটি অস্থায়ী ঘাট নির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: