কক্সবাজার, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় চাঁদাবাজি মামলায় সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য কারাগারে

কক্সবাজারের চকরিয়ায় চাঁদাবাজি মামলায় সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আবু তৈয়বকে জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. জাহিদ হোছাইন। এই মামলায় তিনি হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের কথা থাকলেও যথাসময়ে নির্দেশ না মানায় আদালত তাকে জেল-হাজতে প্রেরণ করেন।

আবু তৈয়ব উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী পূর্ব পাড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল হাকিমের ছেলে ও কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন।

জানা যায়, গত বছর ৫ ডিসেম্বর রাত ১টার দিকে উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের ভাদীবন্যা ও উত্তর এমএলএম নামক ৮০০ একর চিংড়ি ঘেরে আবু তৈয়বের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই চিংড়ি ঘেরে হামলা চালায়।

এ সময় চিংড়ি ঘেরের কর্মচারীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর করে মাছ লুট করা হয়। এই চিংড়ি ঘেরে মৎস্য চাষ করতে হলে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করা হয় বলে মামলার বাদী এজাহারে দাবী করেন।
এ ঘটনায় ১১ ডিসেম্বর মৎস্য ঘেরের অস্থায়ী ইজারাদার মোহাম্মদ খালেদ চৌধুরী বাদী হয়ে আবু তৈয়বকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন চাইলে হাইকোর্টের বিচারক তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন।

চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এপিপি এডভোকেট মো. শহীদুল্লাহ বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ না করায় তাকে জেল-হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক।

এদিকে আগামী ১৭ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে আবু তৈয়ব সদস্য প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনী হলফনামায় তিনি ওই মামলার তথ্য গোপন করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তার প্রার্থিতা বাতিল করেন।

পরে তিনি বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করেন। তাতেও নামঞ্জুর হয়। পরে হাইকোর্টে আপিল করার পর তা স্থগিত করেন।

পাঠকের মতামত: