কক্সবাজার, বুধবার, ১ মে ২০২৪

জেলা প্রশাসককে বিব্রত করে দণ্ড পেলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব

মুন্সীগঞ্জ জেলায় ২০১৮ সালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট থাকাকালীন বর্তমানে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব আবু জাফর রাশেদ মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসককে বিব্রত করেছিলেন। এই দায়ে বেতন গ্রেড কমিয়ে তাঁকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই দণ্ড দিয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট থাকাকালীন আবু জাফর রাশেদের প্ররোচনায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী একটি পত্রিকার ভুয়া সাংবাদিক সেজে মুন্সীগঞ্জ জেলার তৎকালীন জেলা প্রশাসককে বিব্রত করা ও বিপদে ফেলার চেষ্টা করেন।

এই লক্ষ্যে তিনি ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবসে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন সকল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে এমন ভুয়া তথ্য টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারকে দেন।
তিনি সরকারের একজন উপসচিব হয়েও মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসন সম্পর্কে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর মাধ্যমে সিনিয়র কর্তাব্যক্তিদের নিকট মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদানে সহযোগিতা করে প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর বিধি ৩ (খ) অনুযায়ী আনা ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০২০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তারিখের ৬৬ নম্বর স্মারকে অভিযোগ নামা ও অভিযোগ বিবরণী জারির মাধ্যমে তাকে কারণ দর্শনোর নোটিশ করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, আবু জাফর রাশেদ ২০২০ সালের ২৫ মার্চ লিখিত জবাব দেন। তবে ২০২০ সালের ২৮ জুলাই শুনানিতে তার মৌখিক বক্তব্য ও লিখিত জবাব সন্তোষজনক বিবেচিত না হওয়ায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিভাগীয় মামলাটি তদন্ত করার জন্য তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা গত ৬ জানুয়ারি তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন। তাতে আবু জাফরের বিরুদ্ধে আনা ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে মতামত দেওয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট কাগজাদি পর্যালোচনা করে আবু জাফর রাশেদকে দোষী সাব্যস্ত করে সরকারি কমচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী তাকে ৩ বছরের জন্য বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণ নামের লঘু দণ্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, দণ্ডের মেয়াদকালে তিনি জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর গ্রেড ৫-এর ৪৩,০০০ টাকার ধাপে বেতন প্রাপ্য হবেন। তিনি ভবিষ্যতে উক্ত মেয়াদের কোনো বকেয়া পাবেন না এবং উক্ত মেয়াদে বেতন বৃদ্ধির জন্য গণনা করা যাবে না। কলের কণ্ঠ

পাঠকের মতামত: