কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

তমব্রুর শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘আরসা-আরএসও গোষ্ঠী’র মধ্যে গোলাগুলি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের তমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়ার শূণ্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে; তবে এতে কেউ হতাহত হয়েছে কি-না জানা যায়নি।

বুধবার সকাল থেকে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে বলে দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা জানিয়েছেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “সকাল থেকে তমব্রু সীমান্তের শূণ্যরেখায় থেমে থেমে গোলাগুলির খবর স্থানীয়দের মাধ্যমে জেনেছেন। তা এখনও অব্যাহত রয়েছে।”

ইউএনও আরও বলেন, “ঘটনাটি যেহেতু শূন্যরেখায় সেখানে আন্তর্জাতিক রীতি মতে বিজিবিসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ার নেই। তারপরও সীমান্তের উদ্ভূদ পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং প্রশাসন এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছে।”

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, “সকাল থেকে অব্যাহত গোলাগুলির শব্দ শুনা যাচ্ছে। সেখানে কী হচ্ছে বলা যাচ্ছে না। ঘটনায় স্থানীয়রা চরম আতঙ্কে রয়েছে।

শূন্যরেখার ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা দিল মোহাম্মদ বুধবার বলেন, “রোহিঙ্গাদের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। সকাল ৬টার পর থেকে শুরু হওয়া এ গোলাগুলি দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অব্যাহত আছে।”

তবে এতে কেউ হতাহত হয়েছে কি-না তা নিশ্চিত নন এই কমিউনিটি নেতা।

তবে এ ব্যাপারে সকাল থেকে চেষ্টা করেও বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরীকে মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আর কক্সবাজারের র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম ও আইন শাখা) এএসপি মো. আবু সালাম চৌধুরী বলেন, “তমব্রু সীমান্ত বা তার আশপাশে র‌্যাবের কোনো প্রকার অভিযান নেই। সীমান্তে র‌্যাব অভিযান করার কথাও না।”

কমিউনিটি নেতা দিল মোহাম্মদের ভাষ্য, “সকালে সশস্ত্র গোষ্ঠী রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের (আরএসও) সদস্যরা কোনারপাড়া শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় এসে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। পরে তা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভিতরেও ছড়িয়ে পড়ে।”

“প্রাথমিকভাবে আধিপত্য বিস্তারের জেরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে প্রকৃত কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”

গোলাগুলির পর থেকে ক্যাম্পের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন উল্লেখ করে রোহিঙ্গা নেতা আরও বলেন, “অনেকে আশ্রয়শিবিরের ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন।” বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

পাঠকের মতামত: