কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের উখিয়ায় নেওয়া শুরু

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গাদের দুটি গ্রুপের সংঘর্ষের সময় ঘর পুড়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে।

রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে প্রথম দিনে ১৮০ জনকে বান্দরবান সীমান্তের তুমব্রু থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে ১০০ জনকে বেলা ১২টার দিকে চারটি বাসে করে কুতুপালংয়ে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) ট্রানজিট পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আজই বাকিদের নিয়ে যাওয়া হবে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘তুমব্রুতে আশ্রয় নেওয়া শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাই শেষে প্রথম দফায় একটি দলের হস্তান্তর শুরু হয়েছে। তুমব্রুতে থাকা মোট ৫৬২ পরিবারের দুই হাজার ৯৭০ রোহিঙ্গার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রথম দিনে ৩৭ পরিবারের ১৮০ জন রোহিঙ্গাকে উখিয়া ট্রানজিট পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাকিদেরও পর্যাক্রমে হস্তান্তর করা হবে।

‘বিভিন্ন ক্যাম্পে আগে থেকে যাদের ডেটা অন্তর্ভুক্ত আছে তাদের সেসব ক্যাম্পে পাঠানো হবে। বাকিদের নতুন করে আঙুলের ছাপ সংগ্রহ ও ছবি তোলার কাজ শুরু হবে। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, সকাল থেকে তুমব্রু বাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদে আনা হয়। পরে সেখানে তাদের টোকেনের মাধ্যমে পরিচয়পত্র দিয়ে বাসে করে কুতুপালংয়ে পাঠানো হয়। বাকিদেরও একই প্রক্রিয়ায় পাঠানো হবে।

এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এবং আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সংঘর্ষে কমপক্ষে একজন নিহত হন। শিবিরে আগুনে পুড়ে ঘর হারিয়ে তুমব্রু গ্রামে প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নেন।

উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে গত ২৮ জানুয়ারি একটি কমিটি ওই রোহিঙ্গাদের তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষে তাদের হস্তান্তর কার্যক্রম শুরু করে।

পাঠকের মতামত: