কক্সবাজার, সোমবার, ৬ মে ২০২৪

দেখার কেউ নেইঃ স্থানীয়রা আজ অসহায়!

নিজস্ব প্রতিবেদক :

উখিয়া ও টেকনাফে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর তুলনায় রোহিঙ্গাদের জনসংখ্যা এখন দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে স্রোতের মতো আসা রোহিঙ্গাদের চাপে কৃষি জমি, শ্রম বাজার ও শিক্ষা সহ অঞ্চলের মানুষজনের জীবনের নানা দিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বললেন স্থানীয়রা।

মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় এই অঞ্চলের মানুষ এগিয়ে এসেছে এবং এখনো অনেকে সহায়তা করছে।

কিন্তু প্রাণ ভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থানের ফলে এলাকার মুল জনগোষ্ঠীরও যে সহায়তার দরকার হবে বা স্থানীয়দের কথা ভুলে গেলে যে চলবে না।

গত ( ০৯/০১/২০২২ইং) পালংখালী ইউনিয়নের আওতাধীন রোহিঙ্গা ক‍্যাম্প-১৬ (শফিউল্লাহকাটা) তে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শতশত রোহিঙ্গাদের ঘরের পাশাপাশি, কাটাতারের ভিতরে বসবাসরত ১০-১২টি স্থানীয় পরিবারের ঘরবাড়ি পুড়ে যায়। এনজিও কর্মকর্তাদের আর্শীবাদে রোহিঙ্গাদের ভাগ‍্য পরিবর্তন হলেও স্থানীয়দের ভাগ‍্য আজ পযর্ন্ত পরিবর্তন হয়নি, সবসময় পর্দার আড়ালে অধরাই রয়ে যায়। পবিত্র রমজান মাসেও তারা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই যেন স্বাধীন মানচিত্রের একখণ্ড পরাধীন ভূখণ্ডে আমরা উখিয়া-টেকনাফবাসি।

 

এ নিয়ে অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি পালংখালী ( স্থানীয়দের অধিকার আদায়ে সংগঠন) এর সভাপতি ইন্জিনিয়ার রবিউল হাসান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত আরআরআরসি প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের প্রতি বিনীত অনুরোধ অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর ন‍্যায‍্য অধিকার নিশ্চিত করতে দৃশ‍্যমান পদক্ষেপ নিন, আমরা আশ্বস্থ নই, বাস্তবায়ন চাই এবং রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি কাটাতারের ভিতরে বসবাসরত সকল স্থানীয় পরিবার গুলোকে WFP নিয়মিত খাদ‍্য কর্মসূচি ও ফ্রি জ্বালানি গ‍্যাস নিশ্চিত করুন, অন‍্যথায় আমরা অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি, ৫নং পালংখালী ন‍্যায‍্য দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচি চালিয়ে যাব।

উল্লেখ্য: ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে বাংলাদেশে ছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা।

পাঠকের মতামত: