বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির আট সীমানা পিলার দিয়ে প্রায় একই সময়ে শুরু হয় বিস্ফোরণের তুমুল আওয়াজ। আতর্ক ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। এ কারণে সীমান্তের খুব কাছের হওয়ায় নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের জামতলি সীমান্তের অন্তত ৩০ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে।
শনিবার সদর ইউনিয়নের চাকঢালা আমতলী মাঠের সীমানা পিলার ৪৩ থেকে শুরু করে দোছড়ির লেম্বুছড়ি সীমান্তের ৫০ নম্বর পিলার পর্যন্ত দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চার ঘন্টা গুলাগুলির আওয়াজ শুনতে পায় স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্র জানায়-একটু আগে পরে তুমুল গোলাগুলি সঙ্গে আর্টিলারি মটার সেলের বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আমতলী মাঠ থেকে দোছড়ির লেম্বুছড়ি পর্যন্ত।
সীমান্তের লোকজন জানান- মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং আরকান আর্মির মাঝে নিজেদের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের কারণ?
জামছড়ির বাসীন্দা মোঃ রহমান জানান- অনেক দিন আরকান আর্মি মিয়ানমারের সীমান্তে ছিলনা, তারা মিয়ানমারের অনেকে ভিতরে চলে গিয়েছিল কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে আবারো ফিরে এসেছে মিয়ানমার সিমান্তের কাছাকাছি।
সীমান্তের আরেক বাসীন্দা বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার অনেক গুলো অবজারবেশন পোস্ট হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির, হারানো অবজারভেশন পোস্টগুলো’র নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বতর্মানে আরকান আর্মি আর সেগুলো পূর্ণ উদ্ধারে মরিয়া হয়ে উঠেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা,আর সে কারণে চলমান এই গন্ডগোল হয়তো কমবে না বরঞ্চ বাড়বে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, অবস্থা ভয়াবহ জামছড়ি এলাকার, তিনি ঐ এলাকাতে আবস্থান করছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে কম হলেও ১৫ রাউন্ড গুলি বাংলাদেশের ভিতরে এসে পড়েছে সন্ধ্যা ৬টা ৩০মিনিট পযর্ন্ত,সীমান্ত পরিস্থিতি চরম ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে জামছড়ি এলাকার সীমান্ত ঘেঁষা ৩০ পরিবারকে সরিয়ে আনা হয়েছে নিরাপদ স্থানের এক স্কুলে।
জামছড়ি ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার ছাবেরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,তার জীবনে এই প্রথম এমন গুলি এবং আর্টিলারি মটার বিস্ফোরণের টানা আওয়াজ শুনে তিনি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
পাঠকের মতামত: