কক্সবাজার, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ধূমপায়ীদের সংস্পর্শে থাকাও মারাত্মক ক্ষতিকর

‘সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ, ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’ এই স্লোগানটি শোনেননি এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ‘ধূমপান’ শব্দটি ‘ধূম্র’ এবং ‘পান’ শব্দদ্বয়ের সমন্বয়ে গঠিত। ধূম্র শব্দের অর্থ ‘ধোঁয়া’ বা বাষ্প। যেহেতু তামাকজাতীয় পদার্থের ধোঁয়া গ্রহণ করা হয় বা পান করা হয়, তাই একে ধোঁয়া পান বা ধূমপান বলা হয়।

বিশ্বব্যাপী ধূমপানের সবচেয়ে প্রচলিত মাধ্যম হলো সিগারেট, বিড়ি বা চুরুট। এগুলো তামাকজাত দ্রব্য হিসেবে পরিচিত, যা মানব শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তামাকজাত দ্রব্যের মধ্যে আরও আছে জর্দা, গুল ইত্যাদি।

একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে, বর্তমানে ১০ জন পুরুষের মধ্যে ৪ জন এবং ২০ জন নারীর মধ্যে ৩ জন ধূমপানে আসক্ত।

অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সিগারেটে নিকোটিনসহ ৫৬টি বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ আছে। ধূমপানের ফলে মানুষের ফুসফুস ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে যায়। ধূমপান ফুসফুসের ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ। এছাড়া হৃদরোগ, ব্রেইন স্ট্রোক, মুখের ক্যান্সার, গলার ক্যান্সার, পাকস্থলির ক্যান্সার, টিবি বা যক্ষা, অকালে গর্ভপাত, শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত জটিলতা, যৌনশক্তি হ্রাস, গ্যাংগ্রিন, চুল পড়া, চোখে ছানি পড়া ইত্যাদি রোগসমূহের অন্যতম কারণ হলো ধূমপান।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৯ সালের একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, বিশ্বের প্রায় ৭০ লাখ মানুষ সরাসরি তামাক সেবনে মৃত্যুবরণ করে, যার অধিকাংশই ঘটে ধূমপানের ফলে। বাংলাদেশের ৩৫ শতাংশ-এর বেশি মানুষ তামাকজাত দ্রব্য বিশেষ করে সিগারেটে আসক্ত। আরও একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয় এবং প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার মৃত্যুবরণ করেন।

পাঠকের মতামত: