কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

নাইটগার্ড থেকে ‘ইয়াবা সম্রাট’, তার ইশারায় লোড-আনলোড হয় ইয়াবার চালান

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় গভীর সমুদ্র ও সৈকতে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ইয়াবাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ সময় একটি স্পিড বোট ও একটি লাইফ বোট জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলো- পতেঙ্গা থানার মো. ছালেহ আহম্মদের ছেলে মো. নিজাম উদ্দিন (৩০), আনোয়ারা থানার গহিরার মৃত আবদুল মোতালেবের ছেলে মো. আব্দুল মালেক (৫২), একই এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে মো. হাসান মিয়া (২১), পতেঙ্গা থানার বিমানবন্দর এলাকার মৃত ওবায়দুল হকের ছেলে ওমা. ওমর ফারুক (৪০), আনোয়ারা গহিরার মো. নুর নবীর ছেলে মো. ইমরান হোসেন (২০)।

র‌্যাব জানায়, এদের মধ্যে আব্দুল মালেক পতেঙ্গা সৈকতে ৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে নাইটগার্ডের কাজ করছেন। তিনি নাইটগার্ডের আড়ালে গড়ে তুলেছেন ইয়াবা সাম্রাজ্য। তার সংকেত পেলেই পতেঙ্গায় লোড-আনলোড হয় ইয়াবার চালান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে খবর আসে কিছু মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবার একটি বড় চালান নিয়ে স্পিড বোটযোগে সাগরপথে পতেঙ্গা সি-বিচের দিকে আসছে। চালানটির কিছু অংশ সৈকতের কিছুটা দূরে একটি লাইফ বোটে দেওয়া হবে। এরপর স্পিডবোট ও লাইফ বোটটি পতেঙ্গা সি-বিচ মেইন পয়েন্ট ঘাট হয়ে অন্যত্র যাবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে সি-বিচের মেইন পয়েন্ট ঘাট থেকে একটি লাইফ বোট ও একটি স্পিডবোট পালানোর সময় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে এসব বোট থেকে এক লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার ইয়াবার আনুমানিক মূল্য তিন কোটি টাকা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের নাইটগার্ড আব্দুল মালেক দীর্ঘদিন ধরে মাদকের কাজের সঙ্গে জড়িত। তার ইশারায় স্পিডবোর্ড ইয়াবা নিয়ে সমুদ্র সৈকতে আসে। পরে ইয়াবাগুলো তিনি বিক্রি করে। আর গ্রেপ্তার নিজাম উদ্দিন মূলত স্পিডবোর্ডের চালক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্পিডবোর্ডের চালক হিসেবে কাজ করছিল। ইদানিং তিনি গার্মেন্টসে চাকরি নেয় এবং ছুটির দিনে অবৈধ মাদক আনার ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করে। এছাড়া হাসান মিয়া বেশিরভাগ সময় টেকনাফে থাকে। ইয়াবার চালান আনার জন্য টেকনাফ থেকে সে সবকিছু গুছিয়ে দেয়। মূলত এই কাজে প্রতিবন্ধী বিধায় তাকে কেউ সন্দেহ করে না। এভাবেই তারা পরস্পরের যোগসাজশে ইয়াবার বড় চালানগুলো টেকনাফ থেকে সাগরপথে মহেশখালী-কুতুবদিয়া হয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে নিয়ে আসে। গ্রেপ্তারদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: