পদ দখলে জায়েদ ইতোমধ্যে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন, অন্যদিকে নিপুণ আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টে। চলছে আইনি লড়াই।
এছাড়া গত কয়েক দিন ধরে একে অন্যের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ও পাল্টাপাল্টি বক্তব্য তো অব্যাহত আছেই।
এই যখন অবস্থা তখন নিজ প্যানেলের নিপুণ আক্তার ও বিপক্ষ প্যানেলের জায়েদ খানকে নিয়ে মুখ খুললেন ‘বেদের মেয়ে জোছনা’ খ্যাত নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তবে তিনি কারও পক্ষে কথা বলেননি। শুধুমাত্র নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
মঙ্গলবার ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, ‘কিছুক্ষণ আগে একটা গান শুনছিলাম। গানের মূল বক্তব্য, ‘ও মানুষ, কথা কম কবা।’ আমি সেটাই মেনে চলছি। আমার বলার কিছু নেই। যে পদটি নিয়ে জল ঘোলা হচ্ছে, সেটি তো আমার না। আমি তাদের ব্যাপারে নাক গলাতে চাই না। তারা আমার কথা শুনবেও না। ব্যাপারটা এখন উচ্চ আদালতে গড়িয়েছে। আদালতই রায় দেবেন।’
ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, ‘আজকে একটা শুনছি, কাল হয়তো আরেকটা শুনব। চোখের সামনে দেখব কী হচ্ছে! আগে থেকে বলে কেন দোষী হতে যাব! জায়েদ সাধারণ সম্পাদক হলেও আমার লাভ নেই, নিপুণ হলেও ক্ষতি নেই। আমি কেন, আরও সিনিয়র কেউ এসে কিছু বললেও তারা হয়তো শুনবে না। যদি শুনতো, তাহলে জল এত দূর গড়াত না।’
নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে গত শনিবার এফডিসিতে এক বৈঠক ডেকে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনের জন্য গঠিত আপিল বোর্ড। পাশাপাশি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিপুণ আক্তারকে বিজয়ী ঘোষণা করে। রবিবার নিপুণ তার প্যানেলের জয়ী সদস্যদের সঙ্গে শপথও নেন।
সোমবার আপিল বোর্ডের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন জায়েদ খান। শুনানি শেষে হাইকোর্ট জায়েদের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে তাকে পদে বহাল থেকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেন। একইসঙ্গে নিপুণের সাধারণ সম্পাদক পদ স্থগিত করেন।
হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন নিপুণ আক্তার। সেটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বুধবার।
পাঠকের মতামত: