কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

পরিবেশ ভালো না থাকলে প্রয়োজনে ভোট বন্ধ করা হবে: সিইসি

চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নির্বাচনী পরিবেশ ভালো না থাকলে সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোট বন্ধ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, কোনো প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে দ্বিতীয় ধাপে ইউপি ভোট নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পর্যালোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

আচরণবিধি লঙ্ঘন করার কোনো অভিযোগ আসলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এক ঘণ্টাও আমরা বিলম্ব করি না। কোথাও অসুবিধা হলে সমস্যাগুলো আমাদের কাছে আসতে হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা যদি মনে করেন যে, সেই এলাকার নির্বাচনী পরিবেশ ভালো নয়, তাহলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার নির্বাচন বন্ধ করে দেবো। যদি কোনো প্রার্থীর আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হয়, তাহলে তদন্ত করে সত্যতা পেলে তার প্রার্থিতা বাতিল করার ক্ষমতা আমাদের আছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সাহসী ভূমিকা রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়ে সিইসি বলেন, জেলা প্রশাসক যারা আছেন তারা পাশে থেকে সাহস যোগাবেন। অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে কেউ যাতে পার পেয়ে যেতে না পারে, সে জন্য ব্যবস্থা নিতে উৎসাহ দিতে হবে। কোনো রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে তারা আইনের আওতায় আসবে এবং এ জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা থাকবে।

মাঠ প্রশাসনের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আপনাদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ আসলে আমরা তা ফাইল বন্দি করে রাখি না। আমরা সঙ্গে সঙ্গে তার ব্যবস্থা নিচ্ছি। নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক হবে। জাতীয় নির্বাচনের থেকে এই নির্বাচন আলাদা। এখানে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়।

যেকোনো প্রয়োজনে মাঠ কর্মকর্তাদের পাশে থাকার অঙ্গিকার ব্যক্ত করে সিইসি বলেন, আমি আশ্বস্ত হয়েছি যে, নির্বাচনী পরিস্থিতি সারাদেশেই ভালো হয়েছে। আটটি বিভাগের মধ্যে ঢাকা আর খুলনায় উত্তেজনা রয়েছে। খুলনা নিয়ন্ত্রণে এসে গেছে। ঢাকার ব্যাপারে আমরা সচেতন থাকব। কোন কোন স্থানে এ সমস্যা আছে, এখন থেকে যেন সেগুলো চিহ্নিত করতে পারি, সে ব্যাপারে তৎপর হতে হবে।

মাঠ প্রশাসনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, আপনাদের মধ্যে অদ্ভুত ধরনের সমন্বয় রয়েছে। এটাই সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যথেষ্ট। আমি আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, কোথাও যদি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। কোনো কর্মকর্তা যদি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেন, আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা যারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকেন, তাদের কোনো দল, মত, ব্যক্তি বিশেষের প্রতি আগ্রহ থাকতে পারে না। নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে ভোটাররা যার যার ভোট দিয়ে চলে যাবেন এই রকম একটি পরিবেশ সৃষ্টি করবেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রায় সকল দায়িত্ব রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অর্পিত থাকে। নির্বাচন কমিশনের হাতে প্রায় কিছুই থাকে না। সুতরাং তারা দায়িত্ব পালনের জন্য যেকোনো ধরনের সাহায্য সহযোগিতা আমাদের কাছে চাইলে আমাদের কাছ থেকে পাবেন। তবে সব থেকে বেশি সহযোগিতা নিতে হবে মাঠ প্রশাসন, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে।

পাঠকের মতামত: