কক্সবাজার, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

পাহাড় ধসে ঘুমন্ত অবস্থাতেই মা ও ‍দুই শিশু সন্তানের মৃত্যু

একটানা ভারি বৃষ্টির জেরে পাহাড়ি ধসের ঘটনা ঘটে। এতে ভারতের সিকিমে রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত অবস্থাতেই মারা গেলেন মা ও দুই শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের কাছে রঙ্গে দোকান দারা দেচিলিঙে। গ্যাংটকের এসডিএম রবিন শেরপা বলেন, সোমবার রাত ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ এই পাহাড়ি এলাকায় ধস নামে। তার জেরেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দা বিমল মঙ্গারের বাড়ি। এসময় ওই ঘরেই ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন তারা।

ঘটনার পরেই উদ্ধারকাজে নামে ডিস্ট্রিক্ট স্পেশাল রেস্কিউ ফোর্স বা এসডিআরএফ। উদ্ধার করা হয় বিমল মঙ্গারের স্ত্রী ডোমা শেরপা (২৭), তার আট বছর এবং সাত মাসের দুই শিশুর মৃতদেহ। এখনো নিখোঁজ বিমল। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে দফায় দফায় ধসের জেরে এলাকার একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই নিয়ে চলতি মাসে ধসে চাপা পড়ে সিকিমে সাত জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।

আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে বলা হচ্ছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারি বর্ষণ হবে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গসহ সিকিম এবং ভুটানে। যার জেরে সিকিমে হাই অ্যালার্টও জারি করা হয়েছে।

অন্যদিকে সোমবার রাত থেকে টানা বৃষ্টির কারণে পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের লাইফ লাইন বলে পরিচিত ১০ নং জাতীয় সড়কে কালিঝরার কাছে মঙ্গলবার সকালে ধস নামে। এতে দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ে যান চলাচল। রাস্তার দুই ধারে এখনো আটকে প্রচুর গাড়ি।

ভারি বর্ষণের জেরে মেঘালয়ের পশ্চিম গারো পাহাড়ি জেলাতেও ভয়াবহ ভূমিধস হয়েছে। বাগমারার জেলা সদর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে সিজুর কাছে রংডং পাহাড়ে একটি নারকেল বাগানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। যদিও ভূমিধসের কারণে প্রাণহানি বা বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

এছাড়া সোমবার রাত থেকে ভারি বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জেলায়। সকাল ১০টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২০৮ মিলিমিটার। ব্যাপক বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে জলপাইগুড়ি শহর ও সদর ব্লকের বেশির ভাগ গ্রাম।

আর বাহাদুর অঞ্চলের বাসুয়া পাড়া গ্রামের মধ্যে দিয়ে বইছে নদীর স্রোত। প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষি জমি। পৌরসভার ২৫টি ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট, যেন নদীর রূপ নিয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলার সর্বত্র অবিরাম বৃষ্টি হয়ে চলছে। পাহাড়ি ঝোরা এবং নালাগুলো ফের ফুলে ফেঁপে উঠতে শুরু করেছে।

পাঠকের মতামত: