কক্সবাজার, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীক চেয়ারম্যান প্রার্থী

প্রতিপক্ষকে নির্বাচনী মাঠে সাবলীল থাকার আহবান নৌকার প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর

প্রিয় রাজাপালংবাসী

আসসালামু আলাইকুম…

১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।

২০১১ ও ২০১৬ সালে রাজাপালংয়ের গণমানুষের বিপুল ভোটে পরপর দুবার আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলাম। দশবছর দায়িত্বকালীন সময়ে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছি সার্বক্ষণিক সেবক হয়ে রাজাপালংয়ের মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকার, অর্পিত দায়িত্ব পবিত্র আমানত হিসেবে নিয়েছি যার খেয়ানত স্বজ্ঞানে কখনো করিনি।

প্রায় ৪০ বর্গকিলোমিটারের আমার এই রাজাপালংয়ে চলমান উন্নয়নযজ্ঞ ধরে রাখতে এবং এখানে বসবাসরত প্রায় ৭০ হাজার মানুষের আমৃত্যু সেবক হয়ে থাকার সত্য ও সুন্দর প্রয়াসে এবারো উন্নয়নের প্রতীক নৌকা নিয়ে প্রার্থী হয়েছি।

এবারে নির্বাচনে আমার বিপরীতে, উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি জনাব শাহজাহান চৌধুরী, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর জনাব শাহাজালাল চৌধুরী,উপজেলা বিএনপির সভাপতি জনাব সরোয়ার জাহান চৌধুরীর ভাতিজা ও সাবেক চেয়ারম্যান জনাব শাহাকামাল চৌধুরীর পুত্র আমার অনুজ প্রতীম ছোট ভাই সাদমান জামি চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থীতার আড়ালে বিএনপি-জামাতের সরাসরি সমর্থনে ঘোমটা পড়ে নির্বাচন করা প্রিয় জামী চৌধুরী আজ সকালে নিজের পরিবারের নির্বাচনী অপকৌশলের অংশ এবং পুরোনো ঐতিহ্য হিসেবে একটি লোক দেখানো সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

দুঃখের বিষয় প্রিয় গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে রেখে তিনি সেখানে অবিরাম মিথ্যা কথা বলেছেন এবং আমার বিরুদ্ধে অবান্তর ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন, যেগুলো রাজাপালংবাসীর কাছে পাগলের প্রলাপ ব্যতিত কিছুই না।

আমার প্রিয় দলীয় কর্মী সমর্থকেরা এবং আমি রাজাপালংয়ের আপামর জনতাকে সাথে নিয়ে
দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রেখে ও নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলে আনুষ্ঠানিক প্রচারণার শুরু দিন থেকে নির্বাচনী মাঠে আছি।

এবং আমার জানামতে তিনিও তার নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন সুন্দরভাবে যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ সবখানেই দৃশ্যমান। অথচ আশ্চর্যের বিষয় তিনি এখন সংবাদ সম্মেলনে এসে বিভিন্ন মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছেন।

গত ২৯ অক্টোবর কক্সবাজারের মাননীয় জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজাপালং সহ পুরো উখিয়ায় সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে ভোট উৎসব করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের ভাইয়েরাও সে অনুযায়ী দিনরাত পরিশ্রম করছেন।

ফলে যেখানে নির্বাচনকালীন মূহুর্তে এখন পর্যন্ত রাজাপালংয়ের কোথাও কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি, সেখানে তিনি নানা ভিত্তিহীন উস্কানীমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে নির্বাচনী পরিবেশ উত্তপ্ত করার দৃশ্যমান অপপ্রয়াসে লিপ্ত হয়েছেন যা কখনোই কাম্য নয়।

আমার রাজাপালংবাসী এখন আর আপনার পূর্বপুরুষদের আমলের মতো অজ্ঞতা আর অন্ধকারে ডুবে নেই প্রিয় জামী চৌধুরী।

শিক্ষা ও প্রযুক্তির জাদুর ছোঁয়ায় মানবিক মানুষে পরিণত হওয়া এখানকার জনসাধারণ আপনাদের অপকৌশল খুব সহজেই এখন নির্ণয় করতে পারে।

তারা বুঝতে পারে আপনাদের ঐতিহ্যবাহী নাটকের দৃশ্যপট। দয়া করে তাদের বিভ্রান্ত করবেন না, তখন নিজেরাই অস্তিত্ব সংকটে পরবেন।

ক্ষমতার মালিক আল্লাহ, আর ভোট মানুষের কাছে পবিত্র আমানত। প্রিয় জামী চৌধুরী এসব সাজানো গল্প পরিহার করুন, নির্বাচনী মাঠে সাবলিল ও সুন্দর থাকুন।

প্রিয় রাজাপালংয়ের আপামর জনতা, আপনাদের প্রতি অগাধ আস্থা আছে। মহান আল্লাহ রাব্বুলামীনের রহমতে আগামী ১১ তারিখ রাজাপালংয়ের ১৩ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের নিরব বিজয় বিপ্লব ঘটিয়ে আপনারা সেই আস্থার প্রতিদান দিবেন ইনশাআল্লাহ।

সমৃদ্ধ হোক আমার অদম্য রাজাপালং,
জয় হোক মেহনতি জনতার…
আল্লাহ হাফেজ।

জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী,
চেয়ারম্যান প্রার্থী (নৌকা)
রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ ও
সাধারণ সম্পাদক, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।

পাঠকের মতামত: