কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বছরের শেষে চালু হবে পদ্মাসেতু: প্রধানমন্ত্রী

বহুল কাঙ্ক্ষিত নির্মাণাধীন পদ্মাসেতু চলতি বছরের শেষ নাগাদ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জমান সরকারের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের সাহসী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সব বাধা বিপত্তি পেরিয়ে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মাসেতু হতে যাচ্ছে, এর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং প্রকল্পগুলোর একটি।

 

পদ্মাসেতু প্রকল্পের উভয় প্রান্তে এপ্রোচ রোড ও সার্ভিস এরিয়ার কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মূল সেতুর ভৌত অগ্রগতি অগ্রগতি ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। এখন সেতুতে কার্পেটিং, ভায়াডাক্ট কাপের্টিং, ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন, মূল সেতু ও ভায়াডাক্টের মুভমেন্ট জয়েন্ট, ল্যাম্পপোস্ট, অ্যালুমিনিয়াম রেলিং, গ্যাসের পাইপলাইন, ৪শ কেভিএ বিদ্যুৎ এবং রেললাইন নির্মাণ চলমান। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ পদ্মাসেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। সেতু প্রকল্পের সংশোধিত ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনামূল্যে কোভিড টিকা দেওয়ার শুরু থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার ২৯ কোটি ৬৪ লাখ ৮৪ হাজার ১২০ ডোজ টিকা সংগ্রহ করেছে। এ পর্যন্ত ১২ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার ৯৪৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং ১১ কোটি ৪২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজসহ মোট ২৪ কোটি ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯০৪ জনকে দুই ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এক কোটি ৮১ হাজার ১৯৩ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
টিকার মূল্য সংক্রান্ত ওই সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করে বিশ্ববাজারে প্রচলিত দরের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম মূল্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে টিকা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। তবে, টিকা কেনার ক্ষেত্রে নন-ডিকক্লোজার এগ্রিমেন্ট থাকায় টিকার মূল্য বা এ সংক্রান্ত ব্যয় প্রকাশ করা সমীচীন হবে না।
সংরক্ষিত আসনের সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৭৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৯ জন কর্মী বিদেশ গেছে। করোনা অতিমারির সময়েও নয় লাখ ৩৬ হাজার ৯৫৫ জন কর্মী বৈদেশিক কর্মসংস্থান লাভ করেছেন।
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের বয়স্কগোষ্ঠীকে টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় এনে তাদের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এলক্ষ্যে সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত একটি আইন প্রণয়ন ও ওই আইনের আওতায় একটি কর্তৃপক্ষ গঠনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পাঠকের মতামত: