কক্সবাজার, রোববার, ৫ মে ২০২৪

বৃষ্টিতে কক্সবাজার প্রধান সড়কে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগ

মাঘের এক পশলা বৃষ্টিতে শহর জুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে জনগণ। অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ির কারণে এ পরিস্থিতিতে পড়েছে সবাই। খুঁড়ে রাখা ড্রেন পুনর্নির্মাণ না করায় পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়ে সড়কেই জমে রয়েছে।

শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে কক্সবাজারে এক দফা বৃষ্টি হয়। এরপর বেলা একটার দিকে শুরু হয় আবার বর্ষণ। এতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় প্রধান সড়কের সর্বত্র। শহরের বাসটার্মিনাল থেকে হলিডে মোড় পর্যন্ত কাদা, জলাবদ্ধতায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটে চলাচলও মুশকিল হয়ে পড়েছে। সড়কে চলাচলরত একাধিক ইজিবাইক (টমটম) উলটে আহত হয়েছে অনেক যাত্রী।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাস টার্মিনাল থেকে হলিডে মোড় পর্যন্ত এলাকায় খুঁড়ে রাখা ড্রেনের অনেক জায়গা এখনো উন্মুক্ত। কাজ করছেন নামেমাত্র কয়েক জন শ্রমিক। বেঁধে রাখা লোহাগুলো উন্মুক্ত হয়ে আছে। পানি চলাচলের জায়গা না থাকায় সড়কের মধ্যেই জমে আছে পানি। কাদায় ভরে আছে প্রায় পুরো এলাকার সড়ক। কক্সবাজার নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী রুনা আকতার বলেন, এক দিকে করোনা অপর দিকে দেড় বছর ধরে সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে দোকান খোলা-বাঁধা ছাড়া আর কিছুই নেই। তেমন বিক্রি নেই। ফলে, ব্যাংক ঋণের পরিধি চক্রবৃদ্ধি হারে কেবল বাড়ছে।

তবে, সড়কের ভোগান্তির পেছনে পৌরসভা ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করেছে সচেতন মহল। তাদের মতে, যে সময়ে প্রধান সড়কের কাজ শুরু হয়েছে সেই সময়ে শহরের বিভিন্ন উপসড়কের উন্নয়নকাজও শুরু করে পৌরসভা। একসঙ্গে প্রধান ও উপসড়ক চলাচল অনুপযোগী হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েক গুণ।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) ও প্রধান সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্নেল মো. খিজির খান বলেন, কার্যাদেশ অনুসারে কাজ শেষ হতে সময় থাকলেও মানুষের ভোগান্তি দেখে দ্রুত কাজ শেষ করতে বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।

পাঠকের মতামত: