কক্সবাজার, রোববার, ৫ মে ২০২৪

মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে বাংলাদেশের বোর্ডে ২৯০

 

সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে হারতে হয়েছিল ৩০৪ রানের লক্ষ্য দিয়ে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রানের পুঁজি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ।

হারারে স্পোর্টিং ক্লাবে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা জমকালো হয়েছিল বাংলাদেশের। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়ের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়ে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।

জিম্বাবুইয়ান বোলারদের তুলোধুনা করে ৪৩ বলে অধিনায়ক তামিম তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। উইকেটের অপরপ্রান্ত থেকে ধরে খেলছিলেন বিজয়।

উইকেট শূন্য থেকেই পাওয়ার প্লে শেষ করে সফরকারীরা। তবে প্রথম পাওয়ার প্লের পার করে পরপর দুই ওপেনারকে হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় সফরকারীরা।

অর্ধশতক তুলে নেয়ার দুই বল পর টানাকা চিভাঙ্গার বলে আউট হন তামিম। তার বিদায়ের রেশ কাটতে না কাটতেই নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় এনামুল হক বিজয়কেও। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ২০ রান।

দ্রুত দুই উইকেট পতনের রেশ কাটাতে শান্তকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মিশনে নামেন মুশফিকুর রহিম। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত এক অর্ধশতক হাঁকানো ডানহাতি এই ব্যাটারকে এবারে ফিরতে হয় অর্ধেক রান করে। ৩১ বলে ২৫ রান করে মাদভেরের শিকার বনে মাঠ ছাড়েন তিনি।

মুশির বিদায়ের পর লড়াই চালিয়ে যান শান্ত। ৫৫ বলে ৩৮ করা এই টপ অর্ডারকে সাজঘরের পথ ধরতে হয় মাধভেরের দ্বিতীয় শিকার বনে।

১৪৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় সফরকারীরা। এ সময় ত্রাতা হিসেবে আবির্ভাব হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।

আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৮১ রানের জুটি। এই জুটিতে ভর করে পথে ফেরে বাংলাদেশ। দলীয় ২২৯ রানে আফিফ ৪১ রানে সাজঘরের পথ ধরলেও উইকেটে অবচল থেকে লড়াই চালিয়ে যান রিয়াদ।

ধৈর্য্যশীল ব্যাটিংয়ে অর্ধশতক তুলে নেয়ার পাশাপাশি মিরাজ, তাসকিন ও তাইজুলে সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে এনে দেন ২৯০ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি।

ইনিংসের শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৮৪ বলে ৮০ রান করে। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেঞ্চুরির পর এটাই তার সর্বোচ্চ স্কোর।

পাঠকের মতামত: