কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মিয়ানমারের শরণার্থীদের ফেরত পাঠাল থাইল্যান্ড

সীমান্তে সেনাবাহিনী ও জাতিগত বিদ্রোহীদের তুমুল লড়াইয়ের মাঝে পালিয়ে যাওয়া মিয়ানমারের ছয় শতাধিক শরণার্থীকে ফেরত পাঠিয়েছে থাইল্যান্ড। রবিবার থাইল্যান্ডের জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর তথ্য জানিয়েছেন। রয়টার্স।

থাইল্যান্ডের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় তাক প্রদেশে পৌঁছেছেন এমন কয়েকজন শরণার্থী রবিবার সকালে সীমান্তে ফিরে যাওয়ার আগে রয়টার্সকে বলেছিলেন, তারা স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে চান। বিকালের দিকে রয়টার্সের প্রতিনিধিরা মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় টানা গুলিবর্ষণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বিকালে তাক প্রদেশের গভর্নর সোমচাই কিচারোয়েনরুংগ্রোজ রয়টার্সকে বলেছেন, নিজেদের সম্পত্তি নিয়ে চিন্তিত আরও কিছু শরণার্থী মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের উপপরিচালক ফিল রবার্টসন শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরত না পাঠাতে থাইল্যান্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ?মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী যখন মাঠে নামে, তখন তারা ইচ্ছাকৃতভাবে প্রাণবিনাশী বলপ্রয়োগ করে বেসামরিক লোকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। আর এটা সবাই জানেন। তাই এই শরণার্থীরা প্রকৃত অর্থেই তাদের জীবনের জন্য পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বললে তা অতিরঞ্জিত হবে না। এ ব্যাপারে জানতে রয়টার্স টেলিফোন করলেও মিয়ানমারের সামরিক জান্তার একজন মুখপাত্র কোনো সাড়া দেননি। তবে দেশটিতে বেসামরিক নাগরিকদের নির্বিচার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার অভিযোগ অস্বীকার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। থাইভিত্তিক মিয়ানমারের অভিবাসী সংস্থা দ্য এইড অ্যালায়েন্স কমিটি বলেছে, থাইল্যান্ডে প্রবেশের অপেক্ষায় মিয়ানমার সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় এক হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ অবস্থান করছেন। রবিবার সকালের দিকে রয়টার্সের প্রতিনিধিরা থাইল্যান্ডের স্থানীয় স্কুলে আশ্রয় নেওয়া কয়েক ডজন শরণার্থীকে সীমান্তের ওপারে ফেরত পাঠানোর জন্য তিনটি ট্রাকে করে রাখা হয়েছে বলে দেখেছেন।

পাঠকের মতামত: