কক্সবাজার, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

যেভাবে খোঁজ মিলল নেপালের বিধ্বস্ত বিমানের

যেভাবে খোঁজ মিলল নেপালের বিধ্বস্ত বিমানের

২২ যাত্রীকে নিয়ে নেপালের তারা এয়ারের যে ব্মিানটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেটির অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে পাইলটের মোবাইল ফোনের জিপিএস লোকেশন ব্যবহার করে। রোববার দেশটির বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিধ্বস্ত এই বিমানের পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন প্রভাকর ঘিমিরে। কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক প্রেম নাথ ঠাকুর দেশটির সংবাদমাধ্যম মাইরিপালিকাকে বলেছেন, নিখোঁজ বিমানের ক্যাপ্টেন ঘিমিরের মোবাইল ফোন বেজে উঠছে এবং নেপাল টেলিকম থেকে ক্যাপ্টেনের ফোন ট্র্যাক করার পর নেপাল সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার সম্ভাব্য দুর্ঘটনাস্থলে অবতরণ করেছে।

রোববার সকালের দিকে ৪ ভারতীয়, তিন জাপানি নাগরিকসহ ২২ আরোহীকে নিয়ে তারা এয়ারের ৯৯-এনএইটি বিমানটি নিখোঁজ হয়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, পোখারা থেকে জমসমের উদ্দেশে উড্ডয়নের ১৫মিনিট পর সকাল ৯টা ৫৫মিনিটের দিকে বিমানটির সঙ্গে রাডারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে বিমানটি মুসতাং জেলার লেতে এলাকার আকাশে ছিল।

উড্ডয়নের ১৫ মিনিট পর নেপালের তারা এয়ারের দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট ৯-এনএইটি যাত্রীবাহী বিমানটির সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলে এয়ারলাইনের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন। মুখপাত্র সুদর্শন বারতৌলা বলেছেন, বিমানটিতে ১৩ জন নেপালি, ৪ জন ভারতীয়, দুই জার্মান এবং নেপালের তিনজন ক্রু ছিলেন।

প্রেম নাথ ঠাকুর বলেছেন, সেনাবাহিনীর ১০ জন সদস্য এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দুই কর্মচারীকে নিয়ে সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার সম্ভাব্য স্থান মুসতাং জেলার নরশাং মঠের কাছে লামচে নদীর তীরে অবতরণ করেছে। এছাড়াও সেনা ও পুলিশ সদস্যদের স্থলপথেও ঘটনাস্থলের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

দেশটির সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টকে মায়াগদি জেলার প্রধান কর্মকর্তা চিরঞ্জীবী রানা বলেছেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যদের একটি দল মোতায়েন করা হয়েছে। যে এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে কোনও মানব বসতি নেই।

তবে মুসতাংয়ের প্রধান জেলা কর্মকর্তা নেত্র প্রসাদ শর্মা টেলিফোনে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটি মুসতাংয়ের জমসমের আকাশে ছিল এবং তারপরে মাউন্ট ধৌলাগিরির দিকে মোড় নেয়। এরপর বিমানটির সঙ্গে রাডারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, বিমানটি মুসতাং জেলার লেতের তিতি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। মুসতাং পুলিশের কর্মকর্তা রাম কুমার দানি বলেছেন, তিতির স্থানীয় বাসিন্দারা টেলিফোন করে আমাদের জানিয়েছেন যে তারা বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তল্লাশি অভিযান চালানোর জন্য আমরা একটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছি।

পাঠকের মতামত: