কক্সবাজার, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

রামু জনি হত্যা: ৫ দিনেও অধরা জড়িতরা

৫ দিন পরও জট খোলেনি কক্সবাজারের জনপ্রিয় তরুণ কণ্ঠশিল্পী জনি দে রাজের হত্যা রহস্যের। ছিনতাইকারীর হামলায় মৃত্যুর কথা বলা হলেও, ধরণ দেখে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে মনে করছে পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনার রাতে জনিকে বহনকারি অটোরিক্সা চালককে আটক করলেই মিলতে পারে অনেক প্রশ্নের জবাব।

কিছুতেই থামছে না শিল্পী রাণীর গগণবিদারি আহাজারি। বুকের ধন হারিয়ে পাগলপ্রায় মা।

সুর উঠছে না হারমোনিয়ামে। শূন্যতা ভর করে আছে ঘরজুড়ে। গেল ৮ অক্টোবর রাতে অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার সময় দুর্বৃত্তের হামলায় প্রাণ হারান কক্সবাজারের জনপ্রিয় তরুণ শিল্পী জনি দে রাজ। তবে ৫ দিনেও জানা যায়নি হত্যার কারণ।

শৈশবেই সুরের মায়াজালে জড়িয়ে যান ঈদগড় বাজারঘাটা গ্রামের জনি। ধীরে ধীরে আকাশছোঁয়া খ্যাতি পান ঈদগড় কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এই শিক্ষার্থী। মায়ের দাবি,তার সন্তানের কোন শত্রু ছিল না।

ঘটনার পর থেকে জনিকে বহনকারি অটোরিক্সা চালকের খোঁজ মেলেনি। তাকে পাওয়া গেলে মিলতে পারে এ হত্যাকান্ডের রহস্য, দাবি স্থানীয়দের।

ডাকাতি কিংবা ছিনতাই বলা হলেও লুট হয়নি জনির কোন কিছুই। ধরন দেখেকক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনিরুল গীয়াস বলেন, এটি হতে পারে পরিকল্পিত হত্যা।

কক্সবাজারের ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের বাইশারি হিমছড়ি ঢালায় সক্রিয় কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। তাদের কোন একটির গ্রুপই এ নির্মম হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে জানায় স্থানীয়রা।

পাঠকের মতামত: