কক্সবাজার, রোববার, ৫ মে ২০২৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানীয় নারীকে দুই দিন আটকে রেখে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি::
কক্সবাজারের উখিয়ায় স্থানীয় এক নারীকে ধরে নিয়ে দুই দিন ধরে আটকে রেখে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ইনচার্জের বিরুদ্ধে।
দুই দিন আটকে রাখার কথা স্বীকার করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত।
উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী অভিযোগ করেন, জমি দখলে বাধা দেওয়ায় তার ইউনিয়নের ওই নারীকে তুলে নেওয়া হয়।
“আমার ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৪ বছর বয়সী এই নারীকে শুক্রবার দুপুরে ধরে নিয়ে ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখেন ১২ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ইনচার্জ রবীন্দ্র চাকমা। তাকে সেখানে মানসিকভাবে নির্যাতন করার পর ভয়ভীতি দেখিয়ে রোববার বেলা সোয়া দুইটায় ছাড়া হয়।”
চেয়ারম্যান বলেন, ওই নারীর বৈধ জমিতে জোর করে ঘর নিমাণ করছিলেন শরণার্থী শিবিরের লোকজন। তাতে বাধা দেওয়ায় তাকে ধরে নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন চেয়ারম্যান।
অভিযোগে তিনি বলেন, ২০১৭ সালে পালংখালী ইউনিয়নের ঘোনারপাড়া এলাকায় ওই নারীর বসতবাড়িতেও রোহিঙ্গাদের জন্য ঘর নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি তার অবশিষ্ট কৃষিজমিতে রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন শেড নির্মাণ শুরু করেন ইনচার্জ রবীন্দ্র চাকমা। রোজগারের শেষ আশ্রয়স্থল রক্ষা করতে শেড নির্মাণে বাধা দেন ওই নারী। এ কারণে তাকে ধরে নিয়ে আটকে রাখা হয়।
রবীন্দ্র চাকমার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাড়া দেননি।
তবে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, “ওই নারীর কাছে রোহিঙ্গা শরণার্থীর কার্ড ও বাংলাদেশের এনআইডি পাওয়া গেছে। তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ইনচার্জকে বলা হয়েছে।”
কাউকে আটক করার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
ওই নারীর নামে রোহিঙ্গা শরণার্থীর কার্ড আছে কিনা সে বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে চেয়ারম্যান গফুর বলেন, “ওই নারীর নামে শরণার্থী শিবিরের লোকজন জালিয়াতির মাধ্যমে এটা করতে পারে তার জমি দখলের জন্য। ওই নারী আমার ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা।”
উখিয়ার ইউএনও ইমরান হোসাইন সজীব চেয়ারম্যানের অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “চেয়ারম্যানের লিখিত অভিযোগটি পাওয়ার পর প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে পাঠানো হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: