কক্সবাজার, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে বহুগুণ বেড়েছে উখিয়ার হাট-বাজারের নিলাম

রোহিঙ্গা জনগোষ্টির কারণে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হাট-বাজারগুলোর নিলাম ডাক উঠেছে কয়েকশ গুণ বেশী। মাত্র ৬ বছর আগে ৭৫ হাজার টাকায় যে বাজারটি নিলামে উঠেছিল সেটি গতকাল উঠেছে এক কোটি ৩৯ লাখ টাকায়।

দিন দিন বাড়ছে হাট-বাজারগুলোর পরিধি। বাড়ছে দোকান-পাট ও ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা।

আগের চেয়ে কেনাকাটাও বেড়ে গেছে বহুগুণে। এসব কারণে বেড়ে গেছে হাট-বাজারগুলোর নিলাম ডাকও।
জানা গেছে, গতকাল বৃহষ্পতিবার উখিয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ১০টি হাট-বাজার প্রকাশ্যে আগামী বাংলা সনের জন্য নিলাম দেওয়া হয়। নিলামে সর্বোচ্চ দরে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কুতুপালং বাজারটি উঠে যায়।

এ বাজারটি ২০১৬ সালে মাত্র ২০ হাজার টাকায় নিলাম হয়েছিল। কিন্তু পরের বছর ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা ঢলের পর থেকে বাজারের নিলাম দর উঠতে শুরু করে। সর্বশেষ গতকাল বৃহষ্পতিবার বাজারটি ২ কোটি ২৫ লাখে উঠে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দীন আহমেদ এ বিষয়ে গত রাতে জানান, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণেই হাট-বাজারগুলোর নীলাম ডাক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা শিবির সংলগ্ন হাট-বাজারের নিলাম ডাক সবচেয়ে বেশী বেড়েছে। ’ তিনি বলেন, নিলাম ডাক বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় জনজীবনেও তার প্রভাব পড়বে।

জানা গেছে, কুতুপালং বাজারটির নিলাম ডাককারি হচ্ছেন রাজাপালং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি মেম্বার প্রয়াত মৌলভী বখতেয়ার আহমদের স্ত্রী এবং একই ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার হেলাল উদ্দিনের মা শাহিনা আকতার। ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার বাজারটি সরকারি ভ্যাটসহ আড়াই কোটি টাকারও বেশী দাঁড়াবে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের আগে বাজারটি নিলাম ডাকের লোকও পাওয়া যায়নি। বড়জোর ২৫/৩০ হাজার টাকায় নিলাম হত ২০১৬ সালের আগে।

অপরদিকে বালুখালী বাজারটি এক কোটি ৩৯ লাখ টাকায় নিলাম ডেকেছেন গিয়াস উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। স্থানীয় ইউপি মেম্বার নুরুল আবছার চৌধুরী জানান, ২০১৬ সালে বালুখালী বাজারটি মাত্র ৭৫ হাজার টাকায় আমি নিলাম ডেকেছিলাম। কিন্তু গতকাল বৃহষ্পতিবার বাজারটি উঠেছে এক কোটি ৩৯ লাখ টাকায়। ’ উখিয়া ও সোনারপাড়া বাজারেও উঠেছে চড়া মূল্য। তবে হলদিয়ার মরিচ্যা বাজারটি আগের মতোই রয়েছে।

পাঠকের মতামত: