কক্সবাজার, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

শীতের রূপচর্চা

খুব বেশি শীতের দেখা না মিললেও ত্বকের বাড়তি যত্ন নেওয়ার মতো বাতাসে যথেষ্ট টান ধরেছে। শীতের রোদ গায়ে না মাখলে যেমন শরীর জবুথবু হয়ে যায়, তেমন এই সময়ে বাড়তি যত্ন না নিলে ত্বকের ক্ষতি হয়। তবে বাড়তি যত্ন নিতে নানা রকম ক্রিম-ময়েশ্চারাইজার কিনবেন নাকি কমলা লেবুর খোসা বেটে গালে লাগাবেন তা নতুন করে ভাবতে হবে। ত্বকের জন্য ঠিক কী প্রয়োজন, কতটা প্রয়োজন, এই বিষয়গুলো চলুন জেনে নিই।
ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে যেমন পোশাকের ওপর আরও শীত পোশাক পরতে হয়, তেমনই ত্বকের ক্ষেত্রেও বাড়তি কিছু ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন। শীতকালে দ্রুত ত্বক শুকিয়ে যায়। তাই সতেজতা ধরে রাখতে একটি ক্রিমের ওপর আরও ময়েশ্চারাইজার লাগানো যায়। তবে সহজ উপায় হলো ময়েশ্চারাইজার লাগানোর আগে কোনো সিরাম ব্যবহার করা। তা হলে ত্বকে নানা রকম ভিটামিন বা অন্য জরুরি পদার্থ সহজেই যাবে।
এই সময়ে ত্বক বেশি শুষ্ক থাকে। তাই খুব বেশি ঘষাঘষি না করাই ভালো। স্ক্রাব ব্যবহার করতেই পারেন, কিন্তু সপ্তাহে তিন দিনের বদলে এক দিন করুন। কিংবা খুব কড়া স্ক্রাবের বদলে ব্যবহার করুন এমন কোনো স্ক্রাব, যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
এ সময় ঠোঁট, গাল, নাক খুব তাড়াতাড়ি ফেটে যায়। চামড়াও শুকিয়ে খসখসে হয়ে থাকে। যদি যত্ন না করেন, তা হলে এই মৌসুমে আরও ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই ত্বক আর্দ্র রাখার জন্য বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। হায়লারনিক অ্যাসিড, সেরামাইড বা পেপটাইডের মতো জিনিস সাহায্য করে ত্বকের যেকোনো ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তুলতে।
গোসলের পর একটি হাল্কা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিলে হবে না। বরং গোসলের আগে নারকেল তেল মালিশ, কোকো বা শিয়া বাটারের মতো গাঢ় ময়েশ্চারাইজার লাগালে ত্বক আর্দ্র থাকবে। হাত-পা ফাটার সমস্যাও অনেকটা দূর হবে।
অযথা অনেক ক্রিম বা সম্পূর্ণ নতুন প্রসাধনীর সংগ্রহ করবেন না। ত্বকের প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন। যদি মনে হয় শুধু পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে ঠোঁট ফাটা সামাল দেওয়া যাচ্ছে না, তখন আরও ভারী কোনো লিপ বাম কেনার কথা ভাবুন। একইভাবে আপনার নিয়মিত ব্যবহার করা যে প্রসাধনীগুলো দিয়ে কাজ চলে যাচ্ছে, সেগুলো রেখে দিন। বাড়তি প্রয়োজন হলে তবেই নতুন জিনিস কিনুন।

পাঠকের মতামত: