কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

সাধারণ ছুটি না বাড়িয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি চবি শিক্ষার্থীদের

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ ছুটি না বাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও একাডেমিক কার্যক্রম চালু করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা।
একই দাবিতে চবি উপাচার্য, শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা। আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্ত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
পরে প্রক্টরের মাধ্যমে উপাচার্য এবং উপাচার্যের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রক্টরের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেয় শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপিতে ছয় দফা দাবির উল্লেখ করেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হলসমূহ খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের সরাসরি ক্লাস করার অনুমতি প্রদান করা, দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্লাস শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূকে অবহিত করে পর্যায়ক্রমে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সেশন জট নিরসনের জন্য সর্বোপরী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং শাটল ট্রেন বন্ধ থাকাকালীন বাস সার্ভিস চালু করা।
এছাড়া মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া দেশের সবকিছু সচল আছে, তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর কতদিন বন্ধ থাকবে? এভাবে বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সেশনজটে পড়ে যাচ্ছে। এখন বাংলাদেশে ভেকসিন চলে এসেছে, করোনার প্রকোপও কমে গেছে। তাই আমরা সরকারের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার জোর আবেদন জানাচ্ছি।
বক্তারা আরও বলেন, দেশের সব কিছু সচল রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার নষ্ট করা হচ্ছে। এতে আমাদের শিক্ষা জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ছে। রীতিমত শিক্ষার্থীদের সাথে তামাশা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীলদের কোনো মাথাব্যাথাই নাই। অনেকের পরীক্ষা ও টিউশনের জন্য ক্যাম্পাসে আসছে কিন্তু হলে থাকতে পারছে না। এতে বিপাকে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে মেয়েরা।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আরজু আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দর্শন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি কানন ও ইংরেজি বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের ছাত্র শাহ মোহাম্মদ শিহাবসহ প্রমুখ।
এসময় মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবন্ধী ছাত্রসমাজের (ডিসকু) সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সভাপতি রোনাল চাকমা।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া বলেন, “দশজন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরযুক্ত একটি দরখাস্ত পেয়েছি। আবাসিক হল খুলে দেওয়া এবং শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার দাবি জানিয়েছে তারা। করোনা পরিস্থিতি আরেকটু স্বাভাবিক হলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার চিন্তা করছি

পাঠকের মতামত: