কক্সবাজার, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে আগুনের পর বিস্ফোরণ, নিহত ৪

সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম ডিপো নামের একটি বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোতে আগুনের পর বিস্ফোরণ হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে চারজন নিহত হয়েছেন। এতে দগ্ধ হয়েছেন শতাধিক। আর আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কমপক্ষে একুশজন কর্মী। এছাড়া এক পুলিশ কনস্টেবলের পা বিচ্ছিন্নসহ অন্তত নয়জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

আজ শনিবার রাত ১১টার দিকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বাড়ি-ঘরের জানালার কাঁচ ভেঙে পড়ে।

ফায়ার সার্ভিসের কুমিরা স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, আগুনে আহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। এরমধ্যে কন্টেইনার ডিপোর কর্মী, পুলিশ সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা থাকতে পারেন।

রাত সাড়ে ৯টার পর বিএম ডিপোতে আগুনের সূত্রপাত হয় যা নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের দশটি ইউনিট কাজ করছে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা নুরুল আলম দুলাল জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিসের কুমিরা স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নুরুল আলম দুলাল গণমাধ্যমকে বলেন, ওই কন্টেইনার ডিপোতে রাসায়নিক থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলের অনেক দূর থেকেও আগুন দেখা গেছে।

মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশিক বলেন, কনটেইনার ডিপোতে আগুনের ঘটনায় আহত অবস্থায় প্রায় অর্ধশত আহতকপ হাসপাতালে এসেছেন।আমরা গুনে শেষ করতে পারিনি। আহতদের গাড়ি আসতেছে।

আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক নিউটন দাশ জানান, বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দশটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। আগুন নেভাতে আরও কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনারে বিস্ফোরণের ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও আশপাশের সকল চিকিৎসককে চমেক হাসপাতালে আসার অনুরোধ করেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস চৌধুরী।

রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিভিল সার্জন গণমাধ্যমের মাধ্যমে এই আহ্বান জানান তিনি।

পাঠকের মতামত: