কক্সবাজার, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

সেন্টমার্টিনের বেওয়ারিশ কুকুর সরানোর কার্যক্রম বন্ধ

একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের বাধার মুখে বঙ্গোপসাগরের দ্বীপ সেন্টমার্টিনের বেওয়ারিশ কুকুর সরিয়ে নেওয়ার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

 

টেকনাফের ইউএনও পারভেজ চৌধুরী জানান, সেন্টমার্টিন থেকে বেওয়ারিশ কুকুর পুনর্বাসনের কার্যক্রম সোমবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “বেওয়ারিশ কুকুর নিধনের বিষয়ে উচ্চ আদালতের পরিবেশবাদী সংগঠন একটি রিট রয়েছে। এখন কুকুর গুলাকে পুনর্বাসন করার উদ্যোগ নেওয়া হলে পরিবেশবাদী সংগঠন পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন তাতে বাধা দেয়। এ কারণে উদ্যোগটি আপাতত বন্ধ করা হয়েছে।”
সেন্টমাটিনে ভ্রমণে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটক ও স্থানীয়দের কামড় দেওয়ার ঘটনা ঘটায় এবং সৈকতে ডিম পাড়তে আসা কচ্ছপের উপর হামলার ঘটনায় বেওয়ারিশ কুকুর পুনর্বাসনের ওই সিন্ধান্ত নেয় উপজেলা প্রশাসন।

 

এর প্রেক্ষিতে রোববার বিকালে সেন্ট মার্টিন জেটিঘাট এলাকা দিয়ে বেওয়ারিশ কুকুর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়। জাল ও ফাঁদ দিয়ে ৩৬টি কুকুর আটক করা হয়। এ সব কুকুরকে লোহার খাঁচায় বন্দি করে টেকনাফে এনে বিভিন্ন স্থানে পুনর্বাসন করার কথা ছিল।
কিন্তু প্রতিবাদের মুখে ৩৬টি কুকুরকে সোমবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও।
সেন্ট মার্টিন ইউপির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, “সেন্ট মার্টিনে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার মানুষের বসবাস। এর পাশাপাশি পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন ৬-৭ হাজার পর্যটক দ্বীপে বেড়াতে আসেন।
“দ্বীপে দুই হাজারের বেশি বেওয়ারিশ কুকুর আছে। ফলে প্রতিনিয়ত পর্যটক ও সাধারণ মানুষ কুকুরের আতঙ্কে থাকেন।”
পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্থপতি রাকিবুল হকের ভাষ্য, “প্রাণিকল্যাণ আইন ২০১৯-এর ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী কোনো মালিকবিহীন প্রাণী হত্যা বা অপসারণ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। সেহেতু রাষ্ট্রের কোনো নাগরিক তো বটেই, সরকারের প্রশাসনও কুকুর নিধন বা অপসারণ করতে পারবে না।”

পাঠকের মতামত: