কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

স্বামী ও ৫ সন্তান হারা মিনুর আর্তনাদ কে থামাবে…

১০ দিন আগে স্বামী সুরেশ শীলের মৃত্যু হয়। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কোন রকমে দিন কাটাচ্ছিলেন মিনু রাণী। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ছিল শুদ্ধি স্নান। পরেরদিন হওয়ার কথা ছিল ক্রিয়ানুষ্ঠান।

কিন্তু শুদ্ধি স্নানের দিনেই বাবার শ্মশান থেকে ফেরার পথে ঘাতক পিকআপ (ডাম্পার) কেড়ে নিল ৫ সন্তানের প্রাণ। সাথে ছিল আরো ২ ছেলে ও ১ মেয়ে। তারাও আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

পাঁচ সন্তানকে একসাথে হারিয়ে এখন পাগলপ্রায় সুরেশ শীলের স্ত্রী ৫০ বছর বয়স মিনু রানী শীল। তার বুকফাটা আর্তনাদ দেখে গ্রামের মানুষেরা চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না। কাঁদছেন সবাই।

চকরিয়ার মালুমঘাট এলাকাস্থ মৃত সুরেশ শীলের বাড়িতে মঙ্গলবার দুপুরে গিয়ে দেখা গেছে, মিনু রানী শীল আর্তনাদ করে বলছিলেন, যাদের মানুষ করেছি, তাদের নিয়ে গেছে। কাদের জন্য বাঁচব। ক্ষণে ক্ষণেই এমন আর্তনাদ করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ছিলেন মিনু রানী। তাকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলেন না সেখানে আসা লোকজন।

উঠানে সারি করে রাখা অনুপম শীল, নিরুপম শীল, দীপক শীল, চম্পক শীল ও স্মরণ শীলের মরদেহ। পাশে তাদের স্ত্রীরা বিলাপ করছেন। ডুকরে কাঁদছে তাদের ছেলে-মেয়েরাও। প্রতিবেশীরা তাদের সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করছেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি ছিলেন মুসলিমরাও। পাঁচ ভাইয়ের এমন মৃত্যুতে হতবিহ্বল সবাই।

পাঠকের মতামত: