কক্সবাজার, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

৬ ঘণ্টার আগুনে সব পুড়ে ছাই, অক্ষত আল-কোরআন

আল্লাহ প্রদত্ত মাঝে মাঝে কিছু অলৌকিক কিছু ঘটনা ঘটে যায়। এটা তেমনি একটি ঘটনা। নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী ইসলামিয়া মার্কেটে গতকাল ইফতারের সময় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ভয়াবহ ৬ ঘণ্টা আগুনের তাণ্ডবে দু’শতাধিক দোকান পুড়ে ভস্মীভূত হলেও অক্ষত আছে পবিত্র আল-কোরআন।

রাত সাড়ে বারোটার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আগুনের ধোঁয়া এখনোও আছে। আগুনে স্টেশন মার্কেট, হোসেন মার্কেট ও ইসলাম মার্কেটের জুতার দোকান, ফার্মেসি, কাপড়, হার্ডওয়্যার, বই, প্লাস্টিক ও গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানসহ হকারদের ২০০ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কিন্তু অক্ষত ছিল পবিত্র আল-কোরআন শরীফ।

এ অলৌকিক ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ আলোচিত হয়েছে। অনেকে ছবিটিকে ফেসবুক পেজে শেয়ার এবং ছবি তুলে সংরক্ষণ করেছেন।

এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর উপসহকারী পরিচালক অতীশ চাকমা জানান, আশেপাশে পানির সুরক্ষা না থাকায় আগুনের ভয়াবহতা আরোও ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের ভয়াবহতা যাতে আরও দ্রুত না ছড়িয়ে পড়ে সেজন্য আমরা মাইজদী, চাটখিল, কবিরহাট, সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও ফেনীর ফায়ার সার্ভিস ইউনিটদের সহযোগিতা নিয়েছি।

তিনি আরোও জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে স্থানীয় নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মামুনুর রশিদ কিরন, জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেদ সাইফুল্লাহ, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের এবং সাধারণ মানুষের যে সহযোগিতা করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

এদিকে ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায় মোটা অংকের টাকা বিনিয়োগ করায় অগ্নিকাণ্ডে শত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।

পাঠকের মতামত: