কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় গাম্বিয়ার পাশে কানাডা-নেদারল্যান্ড

রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিচার চলছে। মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর গণহত্যা চালানোর দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে) গণহত্যা ও গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা করে গাম্বিয়া। এবার দায়েরকৃত মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে সহায়তা করার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা ও নেদারল্যান্ডস। খবর আলজাজিরার।

বুধবার কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাসোঁয়া ফিলিপে শ্যাম্পে এবং নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফ ব্লক এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন। বিবৃতিতে দেশ দুটি জানায়, তারা মামলার জটিল আইনি বিষয়গুলোতে সহায়তা করবে এবং ধর্ষণসহ যৌন হয়রানি ও নারী নির্যাতনের মতো অপরাধগুলোতে বিশেষ মনোযোগ দেবে।

২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযযানের সময় মিয়ানমার থেকে প্রায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জীবন বাচাঁতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিল। মামলায় বলা হয়, মিয়ানমার ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক এ আদালতে গণহত্যার দায়ে তৃতীয় মামলা এটি। গাম্বিয়া ও মিয়ানমার দুই দেশেই ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ। জেনোসাইড কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী হিসেবে শুধু গণহত্যা থেকে বিরত থাকা নয় বরং এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধ এবং অপরাধের জন্য দেশগুলো বিচারের মুখোমুখি হতে বাধ্য।

মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি সেনা পোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাখাইনে অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। অভিযানের নামে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে আগুন, নির্বিচারে রোহিঙ্গাদের হত্যা এবং নারীদের গণধর্ষণ করা হয়। মিয়ানমার সেনাদের নির্যাতন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম।

পাঠকের মতামত: