কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা কুতুপালং ১১ রোহিঙ্গা আটক

 

শাহেদ হোছাইন মুবিন, উখিয়া :
নোয়াখালী জেলার ভাসানচর শরণার্থী ক্যাম্প থেকে পালিয়ে ১১ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে করেছে ১৪ এপিবিএন।

শুক্রবার ( ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১) বিকেলে উখিয়া কুতুপালং মধুরছড়া পুলিশ ক্যাম্পের ক্যাম্প নং ৩,ব্লক নংডি-৩,এফসিএন নং১৯১৫২৯এর ইসমাইল হোসেন (২২)পিতা-আমির হোসেন এর বসতঘর থেকে তাদের আটক করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- (১)আয়াত উল্যা (৪২) পিতা- দ্বীন মোহাম্মদ, , ঠিকানা-ব্লক নং ডি-৩,ক্যাম্প নং৩, থানা- উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার , ভাসানচরের ঠিকানা -ক্লাস্টার নং ৫৪, ঘর নংকে-১৪,সাব মাঝি মোস্তাক,হেডমাঝি -ঐ,তাহার স্রী(২) মিনারা বেগম,(৩৭)মেয়ে (৩)দিল খায়াজ(১৬),(৪)ইমতিয়াজ বিবি (৯),(৫)আরফা(৩),(৬)আয়েশা ছিদ্দিকা(৪ মাস)(৭)জিয়াবত উল্যা(১৪),(৮)দ্বীন মোহাম্মদ(২৬),পিতা-ছৈয়দুল আহম্মদ,তাহার স্রী (৯)সামছুন নাহার,মেয়ে(১০)মোকারমা(৪),(১১)রোকিয়া বিবি(২)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক জানান,গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানিতে পারি যে, ভাসানচর হইতে ১১ জন রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে তাঁদের পিতা ও ভাগিনার ঘরে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রাপ্ত হইয়া সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে ভাসানচর হতে পলাতক ১১ রোহিঙ্গাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃত রোহিঙ্গারা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ২ পরিবারের আপন বাবা,মা,মেয়ে,ও ছেলে হয়।গত ৩/২/২১ ইং তারিখ উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প হইতে পরিবার পরিজন নিয়ে ভাসানচরে যায়। সেখানে কিছুদিন থাকার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই এবং অনেক লোক চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেছে। ভাসানচরে কাজকর্ম করার কোন সুযোগ সুবিধা নেই। সেখানে শুধুমাত্র জনপ্রতি ১৩কেজি চাউল, আলু, তেল ও হলুদ মরিচ দেওয়া হয়। এ ছাড়া আর কোন তরকারি বা মাছ মাংস কিছু দেওয়া হয়না। তারা আরও বলেন অনেক কষ্টে জীবনযাপন করতে হয়েছে। ভাসানচরে সাগরে থাকা মাছ ধরার নৌকার মাঝিদের কাছে কান্নাকাটি করে পালিয়ে আসার বিষয়ে পূর্ব থেকে কথাবার্তা বলে মাঝিকে নগদ ২০০০/–হাজার টাকা ও নাকের স্বর্নের দুল এর বিনিময়ে ভাসানচর হতে নোয়াখালী উপকূলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য চুক্তি হয়।নৌকার মাঝিদের কোন নাম ঠিকানা তাঁদের জানা নেই । গত ২২/৯/২১ইং তারিখ মাগরিবের নামাজের পর তাহারা ১১ জন ভাসানচর রোহিঙ্গা ঘর থেকে বের হয়ে গোপনে ঘাটের নৌকায় গিয়ে উঠে। পরের দিন ২৩/৯/২১ইং ভোর ৪.০০ ঘটিকায় গিয়ে নোয়াখালী এলাকায় নৌকা ভিড়ে।সেখান থেকে সিএনজি ও বাসে করে ভেঙে ভেঙে গতকাল ২৩/৯/২১ ইং তারিখ সন্ধ্যা ৮.০০ঘটিকায় কুতুপালং বাজার হয়ে মধুরছড়া পুলিশ ক্যাম্পের ক্যাম্প নং ৩,ব্লক নংডি-৩,এফসিএন নং১৯১৫২৯এর ইসমাইল হোসেন (২২)পিতা-আমির হোসেন এর বসতঘর ঘরে এসে উঠে।

আটককৃত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্হা গ্রহনের জন্য ক্যাম্প -৩ সিআইসি অফিসে প্রেরন করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: