কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

৮৪ রানে টাইগারদের গুটিয়ে দিল প্রোটিয়ারা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের সামনে ব্যাট হাতে পাত্তাই পেল না মাহমুউদউল্লাহ রিয়াদ বাহিনী। ফলে সব উইকেট হারিয়ে ৮৪ রান তুলতে সক্ষম হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

এদিন আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। প্রোটিয়া বোলার কাগিসো রাবাদার তোপে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ দলীয় ২৪ হারায় ৩ উইকেট। পাঁচ বলের ব্যবধানে তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে পাঠান প্রোটিয়া পেসার।

তাড়াহুড়ো করে খেলতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৯ রানে সাজঘরে ফিরেন নাইম। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে রাবাদাকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ হন। পরের বলে আউট সৌম্য সরকারও। রাবাদার দুর্দান্ত এক ইয়র্কার ডেলিভারি মিস করে প্যাডে লাগে বাঁহাতি এই ব্যাটাসম্যানের। আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে সিদ্ধান্ত বদলে যায়।

গোল্ডেন ডাকে ফেরেন সৌম্য। এরপর উইকেটে আসেন মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের দিকে তাকিয়ে ছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু শূণ্য রানে আউট হয়ে মুশফিক হতাশাই উপহার দিয়েছেন। এরপর ক্রিজে আসেন টাইগার দলপতি মাহমুদউল্লাহ। তিনিও বেশিক্ষন টিকতে পারেনি। ব্যক্তিগত ৩ রানে সাজঘরে ফিরেন। মাহমুদউল্লাহর পর ক্রিজে নেমে প্রথম বলেই ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের কাছে বোল্ড আফিফ হোসেন।

ক্রিজ ছেড়ে এগিয়ে এসে বড় শট খেলতে যান, টাইমিং হয়নি। ভেঙে যায় স্টাম্প। এদিন তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে শূন্যের মুখ দেখলেন আফিফ। দলীয় ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকে টাইগাররা। তবে চাপ সামলে লড়াই করার আভাস দিচ্ছিল লিটন দাস। কিন্তু তিনি দুঃসময়ে বাংলাদেশকে পথে তুলতে পারলেন না। ৩৬ বলে ১ চারে ২৪ রান করে তাবরাইজ শামসির বলে আউট হন লিটন।

এরপর ক্রিজে আসেন যুব বিশ্বকাপ জয়ী অলরাউন্ডার শামীম হোসেন পাটোয়ারী। কিন্তু বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচ স্মরণীয় করতে পারলেন না তিনি। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রসংশা কুড়ালেও এই ম্যাচ খেললেন ধীরগতির ইনিংস। শামীম ১১ রানে আউট হন। এরপর মেহেদি একাই লড়াই করেন। তাকে সঙ্গ দিতে পারেনি কেউ। মেহেদি ২৫ বলে ২চার ও ১ছক্কায় ২৭ রান করে আউট হন।

পাঠকের মতামত: