কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

আবারও উখিয়া থেকে ভাসানচরের পথে ৭০৫ জন রোহিঙ্গা

উখিয়ার শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে ৯ম দফায় ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন রোহিঙ্গারা।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উগ্র সন্ত্রাসীদের ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে ভাসানচরের পথে রওনা দিয়েছে ২৬৪ পরিবারের আরো ৭০৫ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ। এদের সাথে বহরে আছে আরো ৮৭ জন অতিথি রোহিঙ্গা।
আজ নবম দফায় দুই পর্বে ৩৪টি গাড়ীর বহরে এসব রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর ২ টার দিকে ১ম পর্বে রোহিঙ্গাবাহী ৮টি বাসে করে  ৪১৪ জন রোহিঙ্গা৷ বিকেল ২য় পর্বে ৫ টার দিকে আরো ১৬টি বাস এবং এক্সট্রা বাস, এ্যাম্বুলেন্স, কার্ভাড ভ্যান ও পুলিশী নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ২৯১ জনসহ মোট ৭০৫ জন রোহিঙ্গার গাড়ী বহর চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়।
সেখান থেকে আগামীকাল সকালে নৌবাহিনীর জাহাজে করে রোহিঙ্গাদের ভাসানচর আশ্রয়শিবিরে স্থানান্তর করা হবে বলে সূত্রে জানা গেছে।
সেখানকার পরিবেশ, থাকা-খাওয়ার সুবিধার কথা চিন্তা করে স্বেচ্ছায় সেখানে চলে যাচ্ছি। এর আগে আত্মীয় স্বজন যারা গেছে তাদের খবরে আমরাও যেতে রাজি হয়েছি। এধরণের কথা বলছিলেন জামতলী ক্যাম্পের কয়েকজন রোহিঙ্গা।
জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা’র তত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তর কার্যক্রম পরিচালনা করছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় ও বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা।
এর আগে তালিকাভূক্ত রোহিঙ্গাদের সকালে গাড়িতে করে প্রথমে উখিয়া কলেজ মাঠে নিয়ে আসা হয়।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন সূত্রে বুধবার রোহিঙ্গাদের আরও একটি দল নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে। তবে কতজন যাচ্ছে, তা এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
রোহিঙ্গা স্থানান্তর কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা বলেছেন, আজ ৭/৮শ জন রোহিঙ্গা ভাসানচর যেতে পারে এমনটি জানিয়েছেন।
এর আগে পর্যায়ক্রমে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ১৮ হাজার ৯৫৭ জন রোহিঙ্গা ভাসানচর আশ্রয়শিবিরে স্থানান্তর করা হয়।
আরআরআরসি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীর ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গার ধারণক্ষমতার আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সরকার। যেখানে ১৩ হাজার একর আয়তনের ১২০টি অবকাঠামো তৈরি করা হয়।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইনে রাজ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে আসতে শুরু করে ১০ লাখের অধিক  রোহিঙ্গা। এরপর থেকে তারা উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে অবস্থান করছে।

পাঠকের মতামত: