কক্সবাজার, বুধবার, ১ মে ২০২৪

উখিয়ায় সন্ধ্যা নামলে বসে ইয়াবা ও জুয়ার আসর

মোহাম্মদ ইব্রাহিম মোস্তফা, উখিয়া বার্তা ডটকম::

মাদকদ্রব্যে সয়লাব কক্সবাজারের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত উপজেলা উখিয়া। অলিতে-গলিতে বৃদ্ধ থেকে শুরু করে উঠতি বয়সী তরুণরা বিক্রি করছে ইয়াবা ও গাঁজা। প্রতিদিনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে কিছু চুনোপুঁটি ধরা পড়লেও অধরা থেকে যায় রাঘববোয়ালরা। মাদক ছাড়াও সন্ধ্যা নামলেই থানা ডেসপেনসারী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাহাড় ও বিভিন্ন এলাকায় বসে জুয়ার আসর।

যার কারণে দিন দিন মাদক ও জুয়ার আড্ডা বৃদ্ধির ফলে অবনতির দিকে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির।

জানা যায়, উপজেলা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনটি পরিত্যক্ত হওয়ায় মাদক মামলার আসামিরা ইয়াবা, মদ বিক্রয় ও লেনদেনের নিরাপদ কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছে মাদক কারবারিরা। এছাড়াও একিভাবে গ্রামের অলিগলিতে চলে মাদকের রমরমা আড্ডা।

উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র সড়কের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, এই পাহাড়টি মাদক পাহাড় নামকরণ করা দরকার কারণ সূর্য ডোবার সাথে সাথে মাদক কারবারিরা পাহাড়ে উঠে মদ নিয়ে জুয়ার আসর বসে। বিশেষ করে রাতের সময় মদের গন্ধের জন্য দোকানে বসা সম্ভব হয় না৷

স্থানীয় বাসিন্দা এহেছানুল করিম চৌধুরী বলেন, ইয়াবা ও মদ থেকে শুরু করে যত মাদক আছে সবকিছু উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাহাড়ে লেনদেন হয়৷ এই পাহাড়ের চারপাশে বাউন্ডারি না থাকা মাদক কারবারিরা এই পাহাড়কে বেছে নিয়ে। করণ প্রশাসের কেউ আসলে চারপাশ দিয়ে পালাতে পারে।

থানা ডেসপেনসারী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, বাউন্ডারি না থাকার কারণে অবাধে চলাচল করছে মাদক কারবারিরা। আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। গতবছর উখিয়া থানা পুলিশের অভিযানে চালার পর কিছুদিন বন্ধ হলেও আবার বেপরোয়া হয়েগেছে মাদক কারবারিরা৷

সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা জানান, দিনের বেলায় সবকিছু ঠিক থাকলেও রাত বাড়ার সাথে সাথে পাড়া-মহল্লা, অলি-গলিতে প্রকাশ্যেই মাদক বেচাকেনা ও জুয়ার আসর জমে। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ বিভিন্ন মাদক ও জুয়ার স্পট চিহ্নিত করে অভিযান পরিচালনা করা জরুরি।

উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আহম্মেদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে সরকার। আমরা প্রতিদিনই মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। প্রায় প্রতিদিনই মাদক আটকের ঘটনা ঘটছে। মাদক কারবারি করে কেউ পার পাবেনা, পুলিশ কাউকে বিন্দু পরিমাণও ছাড় দেবোনা৷

পাঠকের মতামত: