কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

৫০ ভাগ কিশোর কিশোরী জানেই না ডায়াবেটিস কী

 

দেশের কর্মক্ষম ও পরিণত জনগোষ্ঠীর একটা বিরাট অংশই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশুরাও। বাংলাদেশেও এর ঝুঁকি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে মোটেও সচেতনতা বাড়েনি। শুধু তাই নয়, গবেষণায় ওঠে এসেছে, ৫০ ভাগ কিশোর কিশোরী জানেই না ডায়াবেটিস কী? এবং তা কী কারণে বা কেন হয়ে থাকে। কিশোর-কিশোরীতো দূরের কথা, নিয়মিত

ডায়বেটিসের ওষুধ সেবন যে গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কেও অধিকাংশ গৃহিণী জানেনেই না। সম্প্রতি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত গবেষণা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। যাতে দেখা যায়, ডায়াবেটিসের স্বাস্থ্যসেবা ও নিয়মিত সেবা গ্রহণ নিয়ে সচেতন নন অধিকাংশ মানুষ। এমন শঙ্কার মধ্য দিয়ে দেশে আজ সোমবার পালিত হচ্ছে জাতীয় ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস। অ-সংক্রামিত এই রোগটি সম্পর্কে সচেতনতার পাশাপাশি এটি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার পরামর্শসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যেমে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

গবেষণায় দেখা যায়, স্কুলের ৫২ ভাগ কিশোর কিশোরীই জানে না ডায়াবেটিস কী এবং কেন হয়। তাদের অনেকেই ডায়াবেটিস রোগীর সেবা সম্পর্কে অবগত নয়। এছাড়া ৬৫ ভাগ কিশোর কিশোরী কখনো ইনসুলিনের নামই শুনেনি। ৫৭ ভাগ ছাত্র ছাত্রী জানে না যে ফাস্ট ফুড কিংবা কম শারীরিক কার্যক্রমের কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে। এই বিষয়কে আশঙ্কাজনক বলেই মনে করেন গবেষকদলের প্রধান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ডায়াবেটিস ও হরমোন রোগ বিভাগের সহযোগী অধাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. ফারহানা আক্তার।

তিনি বলেন, শিশু কিশোরদের মধ্যে সচেতনতার অভাব পরবর্তীতে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়িয়ে দিবে। তাই ছোট্ট বয়স থেকেই স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। গবেষকদের মতে, দেশে বর্তমানে এক কোটিরও অধিক লোক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তারমধ্যে চট্টগ্রামে রয়েছে চার লক্ষাধিক ডায়বেটিস রোগী। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ডায়াবেটিস নিয়ে সচেতন নন অনেকেই। এরমধ্যে নিয়মিত ডায়াবেটিসের ওষুধ সেবন যে গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কেও অধিকাংশ গৃহিণী তা জানেনই না। গবেষক দলের অন্যতম প্রধান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান বলেন, ডায়াবেটিস নিয়ে আমাদের শিশু কিশোররা সচেতন না হলে, তারা বাবা মা কিংবা পরিবারের অন্য সদস্যদের ডায়াবেটিস হলে বিশেষ সংকটময় মুহূর্তে সাহায্য করতে পারবে না। একইভাবে তাদের নিজেদেরও সচেতন হওয়া দরকার।

পাঠকের মতামত: