কক্সবাজার, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিশুদের নিয়ে ১৪-এপিবিএনের শিশু দিবস উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক::

রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বিকেলে উখিয়ার ওয়ালা পালঙ্ক পুলিশ ক্যাম্পের টোয়েন্টি এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক (এসপি) নাইমুল হক নাইম সপরিবারে ব্যাটালিয়ন সদস্যদের নিয়ে শিশুদের জুস, চকলেটসহ নানা ধরনের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।

এসপি নাইমুল হক বলেন, শিশুরা স্বর্গীয়। তাদের ভেতর কোনো ভেদাভেদ নেই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন। রোহিঙ্গাদের ভেতর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমরা তাদের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছি। তারই অংশ হিসেবে আমাদের ব্যাটালিয়ন প্রায়ই রোহিঙ্গা শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণসহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলায় অংশ নিয়ে থাকে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের সামাজিক কর্মসূচি অনেক কার্যকর। বিশেষ করে শিশুদের মনে এ ধরনের কর্মসূচি অনেক ভালো প্রভাব ফেলে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে জাতীয় শিশু দিবসটি রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে শেয়ার করা।

এসময় ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) নাঈমুল হকের সহধর্মিনী রেহানা ফেরদৌসী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান (ক্যাম্প কমান্ডার লম্বাশিয়া ক্যাম্প), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিযুস চন্দ্র দাস (ক্যাম্প কমান্ডার নৌকার মাঠ পুলিশ ক্যাম্প), সহকারী পুলিশ সুপার এমরানুল হক মারুফ (বালুর মাঠ পুলিশ ক্যাম্প কমান্ডার), সহকারী পুলিশ সুপার আবু হাসান (ইরানি পাহাড় পুলিশ ক্যাম্প কমান্ডার), মোহাম্মদ শাকিল হাসানসহ (মধুর ছড়া পুলিশ ক্যাম্প কমান্ডার) অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

লম্বাশিয়া ক্যাম্পের সাব-মাঝি রফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকার আমাদের সম্মানজনকভাবে বসবাসের সুযোগ দিয়েছেন। অনায়াসে দিচ্ছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী। এরপরও আমাদের কিছু কওমের অপরাধের কারণে আমরা লজ্জিত হচ্ছি। আমাদের নিরাপত্তায় ক্যাম্পে কাজ করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা খুবই মিশুক এবং আন্তরিক।

তিনি আরও বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে প্রতি জুমায় খুতবার আগে এবং ব্লকভিত্তিক বৈঠক করে আমাদের শৃঙ্খলা সম্পর্কে বয়ান দেওয়া হয়। গতকাল (বৃহস্পতিবার) তারা আমাদের বাচ্চাদের খাবার দিয়ে হেসে-খেলে সময় কাটিয়েছে। এ ঘটনা আমাদের খুবই আনন্দিত করেছে।

পাঠকের মতামত: