কক্সবাজার, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে পরিবেশকর্মীর ভিন্নধর্মী প্রতিবাদ

পেকুয়া প্রতিনিধি::

আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস দিবস। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এবার নদীর উপর ময়লারস্তুপে বসে ও শুয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন কয়েকজন পরিবেশ কর্মী। তারা হলেন, নোঙর কক্সবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এফ এম সুমন ও বাপা’র মহেশখালী আঞ্চলিক জোনের সদস্য দেলোয়ার হোছাইন। তারা পেকুয়া উপজেলার অন্যতম খাল কহলখালী খালের উপর রাখা ময়লা আবর্জনা প্লাস্টিকসহ এককথায় দূষণে ভরপুর এই খালের উপর শুয়ে তারা প্রতিবাদ জানান।
এইসময় তারা প্রায় আধাঘন্টা ওই ময়লারস্তুপে শুয়ে থাকেন। তার পাশেই পেকুয়ার প্রধান সড়ক দিয়ে যাওয়া যাত্রীরা তাদের দিকে তাকিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন।

এসময় প্রতিবাদকারীরা বলেন, এই খালটি আজ দখলও দূষণে একাকার বলতে গেলে আজ খালটি দখলদারদের পেটে। সামান্য যা আছে তাতে যে পরিমাণ দূষণ তাতে নদীটি আর নদী নাই৷
তাই তারা এভাবেই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তারা আরো বলেন, আমরা জানি বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ, নদী আমাদের মা কিন্ত সেই নদী যেখানে দূষণ আর দখলে ভরপুর সেই মায়ের বুকেই আমরা শুয়ে আছি। এই ময়লার গন্ধে আমরা বিচলিত নই আমরা বিচলিত যে এই নদীর শেষকৃত্য হচ্ছে তা নিয়ে৷

তারা এই নদীটি উদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বা ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ না হলে আমরন অনশন করবেন বলেও হুমকি দেন।
জানা যায়, বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত সমস্যা সর্ম্পকে জনগণকে সচেতন করার জন্য দিবসটি ১৯৭৪ সাল থেকে পালিত হচ্ছে। জাতিসংঘ এবারের পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে, ‘Only One Earth’, বা বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘একটি মাত্র পৃথিবী’।

বাস্তবে কথাটি সরল, কিন্তু এর গভীরতা অনেক বেশি। এবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসে পেকুয়া উপজেলার অন্যতম খাল কহলখালী দখল ও পাহাড়ে দিন দিন মানুষের বসবাস অতিরিক্ত গাছ কাটা এবং পাহাড়ে বিদ্যুৎ সেবা দিয়ে বনজ প্রাণী ও জীব বৈচিত্র হুমকির মুখে ফেলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।

এদিকে পরিবেশ দিবসে পরিবেশকর্মীদের এমন ভিন্নধর্মী প্রতিবাদকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয়রা৷ স্থানীয়রা বলছেন যেভাবে কহলখালী দখল হয়ে যাচ্ছে এভাবে নদীটি বিলুপ্ত হলে এই অঞ্চলের প্রায় অর্ধেক চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। তাই দ্রুত খালটি উদ্ধার ও খননের দাবি জানান তারা।

পাঠকের মতামত: