নিজস্ব প্রতিনিধি, উখিয়া::
উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের সাবেক রুমখা ক্লাস পাড়া গ্রামে আবদু শুক্কুর নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে সন্ত্রাসী কায়দায় প্রকাশ্য হামলা, ভাংচুর ও মালামাল লুটপাটের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এ সময় বাধা দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে গৃহকর্তা শ্বশুর আবদু শুক্কুর (৬৫), শাশুড়ী ছালেহা বেগম (৫৮) ও পুত্র বধু সাবিনা ইয়াছমিন (২৬)।
গ্রামবাসীরা জানান, পারিবারিক অভ্যন্তরিণ দ্বিধা দ্বন্ধ ও বউ শাশুড়ী মতানৈক্যের অজুহাতে পরিকল্পিত ভাবে শ্বশুর বাড়িতে ন্যাক্কার জনক ঘটনাটি ঘটায়।
উখিয়া থানায় দায়েরকৃত লিখিত এজাহারে বাদী আব্দু শুক্কুর উল্লেখ করেছে গত ১৫ এপ্রিল বিকেলে পুত্র বধু হুমাইরা আকতারের পক্ষের চিহ্নিত ১০/১২ জন লোক অর্কিত অবস্থায় বাড়িতে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী কায়দায় বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর ও মালামাল তছনছ করতে থাকে। এ সময় বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে শ্বশুর, শাশুড়ী ও অপর পুত্র বধু কে এলোপাতাড়ি মারধর করে। চিৎকার শুনে পাশ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের কে উদ্ধার করে পুত্র বধু সাবিনা ইয়াসমিন উখিয়া হাসপাতাল ও শ্বশুর আবদু শুক্কুর কে কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি করে। তৎ মধ্যে শ্বশুরের পায়ের আঘাত মারাত্মক।
আহত আবদু শুক্কুর অভিযোগ করে বলেন , প্রবাসী পুত্র নুর মোহাম্মদ বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থান করার সুযোগে তার স্ত্রী শ্বশুর শাশুড়ীর অবাধ্য চলাফেরা করে। আচার আচরণ সংযত ও পরিবারের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিহিংসায় মেতে উঠে আমার বাড়িতে তান্ডব লীলা চালানো হয়েছে। শুধু তাই নই স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিস পত্র লুট করে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন ওই সময় কয়েকজন মহিলা ভাতে বিষ মিশিয়ে দেয়। আমরা জানতে পেরে তা থেকে রক্ষা পায়।
এ ব্যয়পারে রুমখা চৌধুরী পাড়া গ্রামের সাহাব উদ্দীন, নাছির উদ্দীন ও ইসমাঈল সহ ১১ জনকে আসামী করে উখিয়া থানায় এজাহার দায়ের করা হয়। তদন্তকারী অফিসার এস আই খালেক সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে।
পাঠকের মতামত: