কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

বিক্রি হল প্রায় ২ লাখে

টেকনাফে বড়শিতে উঠল ২৮ কেজির কালা পোয়া

আব্দুস সালাম, টেকনাফ::

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিমপাড়া সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের তীরে স্থানীয় জেলের বড়শিতে ধরা পড়ল ২৮ কেজি ওজনের একটি রুপালি পোয়া মাছ। স্থানীয় ভাষায় এ মাছটি কালা পোয়া নামে পরিচিত। মাছটি লম্বা প্রায় সাড়ে তিন ফুট। মাছটি বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার টাকায়।

মাছটিতে এমন কি রয়েছে যা এতো দামে বিক্রি হলো। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই এ ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা দিতে না পারলেও সবাই বলছেন, মাছটির ফুসফুস বা ফদানার কারণে এতো দাম। মাছটির ক্রেতা বলছেন, মাছটি হংকংয়ে রপ্তানি হবে। আর মাছটির ফুসফুস দিয়ে বিশেষ ধরনের স্যুপ ও
এয়ার ব্লাডার দিয়ে বিশেষ ধরনের অপারেশনাল সুতো তৈরি হয়। তাই মাছটির এতো দাম।

রবিবার বিকালে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ডাঙ্গরপাড়ার বাসিন্দা মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে মুজিবউল্লাহর বড়শিতে মাছটি ধরা পড়ে। জেলে মুজিব উল্লাহ বলেন, রবিবার দুপুরে নৌকা নিয়ে তিনিসহ তিনজন শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিমপাড়া সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যান। একসঙ্গে ১০টি বড়শি ফেলে প্রথমে ৭ কেজি ওজনের একটি পোয়া মাছ ধরেন।

এরপর কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর একটি বড়শিতে বারে বারে বড় টান আসায় ধারণা হলো বড় কিছু বড়শিতে লেগেছে। অন্যদের সহযোগিতায় বড়শি টেনে কাছে আনতেই বড় মাছ দেখে আমিসহ জেলেরা আনন্দে দিশেহারা হয়ে পড়ি।

 

পরে নৌকা নিয়ে তীরে আসার সঙ্গে সঙ্গে বড়শিতে বড় মাছ ধরা পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে পশ্চিমপাড়া মৎস্য ঘাঁটে উৎসুক জনতা মাছটি দেখতে ভিড় জমান। পরে বড়শির মালিকের কাছ থেকে ১ লাখ ৯১ হাজার টাকায় শাহপরীর দ্বীপ কোনারপাড়ার মোহাম্মদ আমিনের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইসমাইল মাছটি কিনে নেন বলেও ওই জেলে জানান।

মাছ ক্রেতা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, মাছটি ভালোভাবে বরফ দিয়ে কক্সবাজার ফিশারি ঘাটে পাঠানো হয়েছে।

এ মাছের ফদানার দাম অনেক বেশি হওয়ায় চট্টগ্রাম নেওয়া যায় কিনা সেখানকার ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

 

তিনি আরও বলেন, তিনি ঝুঁকি নিয়ে মাছটি কিনেছেন। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী পিকে দাশের কাছে তিনি মাছটি বিক্রি করবেন। তিনি বিদেশে মাছ ও মাছের ফদানা রপ্তানি করে থাকেন। যদি ফদানা বা ফুসফুসটির ওজন ৯০০ থেকে ৯৫০ গ্রাম হয় তবে এটি বিক্রি করে লাভ হবে। আর ওজন কম হলে লোকসান গুণতে হবে ।

টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গোপসাগরে ২৮ কেজি ওজনের বড় পোয়া মাছটি ধরা পড়ার খবরটি শুনেছি। সাধারণত এতো বড় পোয়া মাছ সহজে ধরা পড়ে না। এর বায়ুতলী বা এয়ার ব্লাডারের কারণে মাছটির অত্যাধিক মূল্য। এয়ার ব্লাডার দিয়ে বিশেষ ধরনের অপারেশনাল সুতো তৈরি হয় বলে মাছটির এতো দাম বলে তিনি শুনেছেন। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।

পাঠকের মতামত: