সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। গত ৪ মাস ধরে এ সংঘর্ষ চলছে।
শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পাইনছড়ি সীমান্তে সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
তবে গত ১ সপ্তাহ ধরে এ গোলাগুলিতে পেরে না ওঠায় আরো শতাধিক জান্তা সদস্য আশ্রয় নিতে সীমান্ত দিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির অভ্যন্তরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা গেছে। খবর শুনে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি তাদের নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
সূত্র মতে, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জামছড়ি,চাকঢালা,আশারতলি, লেম্বুছড়ি ও পাইনছড়ি সীমান্তে বিজিবির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে সেখানে টহল বৃদ্ধি করেছে বিজিবি। রোববার বিকেল নাগাদ এ দৃশ্য দেখেছেন সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দারা।
চলমান সংঘর্ষে সেক্টর-২ এর আরও শতাধিক সদস্য বাংলাদেশে ঢোকার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। জামছড়ি জারুলিয়াছড়ি নুরুল আলম কোম্পানীর লেবু বাগানের পাশের এলাকার মিয়ানমারের কিছুটা ভিতরে জড়ো হয়েছে শতাধিক জান্তা সদস্য। যে কোনো মুহূর্তে সীমান্তের জিরো লাইন দিয়ে তারা আশ্রয় নিতে পারে বলে জানিয়েছেন সীমান্তে বসবাসকারী লোকজন।
জামছড়ি সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা আবদুর রহিম জানান, সোমবারের মধ্যে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যরা সীমান্তের জিরো লাইনে আশ্রয় নিতে পারে।
এর আগে গত ১১ মার্চ তিন দফায় জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর তিন কর্মকর্তাসহ ১৭৭ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। তাদের বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদরের বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদের তথ্য যাচাই ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়।
তবে কবে নাগাদ তাদের ফেরত পাঠানো হবে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মোজাহিদ উদ্দিন জানান, সীমান্তের এ পরিস্থিতিতে বিজিবি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
১১ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্নেল সাহল আহমদ নোবেলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।
পাঠকের মতামত: