চলতি এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় ব্যবধানের জয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। তবে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে টাইগাররা। পাক পেসারদের বোলিং তোপে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৭ উইকেটে পরাজিত হয় সাকিব বাহিনী।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সুপার ফোরে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩ টায় শুরু হবে ম্যাচটি। ফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই। এমন ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তন আসার বেশ সম্ভাবনা রয়েছে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ওপেনিংয়ে দেখা যায় নাঈম শেখ ও মিরাজকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে সেই ওপেনিংয়ে পরিবর্তন আনা জরুরি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে মিরাজ ওপেনিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শতক হাঁকালেও ভালো বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে নতুন বল মোকাবেলা করার জন্য এখনও যথেষ্ট প্রস্তুত নন তিনি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে নাসিম শাহর যে বলে মিরাজ আউট হয়েছেন সেটাতে বোলারের যতটুকু না কৃতিত্ব ছিল তার চেয়ে বেশি দায় মিরাজের। পাক পেসারের গতির ভয়ে যেন এদিন অনেকটাই নার্ভাস ছিলেন তিনি। শ্রীলঙ্কা কিংবা ভারতের বিপক্ষেও ভালো মানের বোলারদের মোকাবেলা করতে হবে টাইগারদের। আর সেক্ষেত্রে ওপেনিং জুটিতে ভালো একটা শুরু খুবই জরুরি।
এজন্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওপেনিংয়ে লিটনকে ফেরানো উচিত। তার সঙ্গী হিসেবে সুযোগ দেয়া উচিত আসরের মাঝপথে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া এনামুল হক বিজয়কে। নাঈম শেখের পরিবর্তে লঙ্কানদের বিপক্ষে অভিজ্ঞ বিজয়ই হতে পারে দলের সেরা পছন্দ। তাছাড়া লিটন-বিজয় উভয়েরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেশ অভিজ্ঞতা থাকায় বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিও হবে বেশ সমৃদ্ধ।
বিজয়কে ওপেনিংয়ে সুযোগ দেয়া হলে মিরাজ চলে যাবে তার পুরনো পজিশনে। আর ওয়ানডাউনে খেলানো যেতে পারে অধিনায়ক সাকিব কিংবা তাওহিদ হৃদয়কে। মিরাজ তার পুরনো পজিশনে খেললে টিম ম্যানেজমেন্ট চাইলে শামীম পাটোয়ারি বা আফিফ হোসেনের পরিবর্তে বাড়তি স্পিনার হিসেবে নাসুম আহমেদকে নিয়েও খেলতে পারবে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ- লিটন দাস, এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), শামীম হোসেন/নাসুম আহমেদ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ।
পাঠকের মতামত: